শূন্য হাতে ঘরে ফেরা। মঙ্গলবার মাদ্রিদে কাসিয়াসরা। ছবি: এএফপি
গিয়েছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে। ফিরলেন ‘প্রাক্তন’ আখ্যা নিয়ে।
বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে মঙ্গলবারই দেশে ফিরলেন স্পেনের ফুটবলাররা।
মাদ্রিদ বিমানবন্দরে ফিরে ফুটবলারদের চোখে শোকের ছায়া। কেউ কেউ আবার স্বস্তি পেয়েছেন ব্রাজিলের দুঃস্বপ্ন অবশেষে শেষ হল বলে। বিমানবন্দরে নেমে ফুটবলাররা একে অন্যকে আলিঙ্গন করে ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠে বিদায় নেনে। চার বছর আগে যে বিমানবন্দর থেকে বিশ্বকাপ হাতে ফিরেছিলেন স্প্যানিশ দল, আজ সেখানে তাদের একমাত্র সম্বল সমবেদনা। চার বছর আগে সমর্থকদের ভিড়ে গোটা বিমানবন্দর ভরে উঠেছিল। আজ হেরে যাওয়া সৈনিকদের দেশে স্বাগত জানাতে দেখা যায়নি কাউকে।
ঘরে ফিরেই গত বারের ফাইনালের গোলদাতা আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ করে টুইট করেন। বলেন, “প্রতিজ্ঞা করলাম আবার স্পেনের সোনার সময় ফিরিয়ে আনব। বিশ্বকাপ থেকে এত তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরব, কোনও দিন ভাবতেই পারিনি। অনেক আশা নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম। ভাল ফল করব বলে আশা ছিল। ক্ষমা চাইছি গোটা দেশের কাছে।”
বিমানবন্দর থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই সংবাদমাধ্যমে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেল দাভিদ ভিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন বলে ঠিক করেছিলেন ভিয়া। বলেছিলেন, “দেশের হয়ে খেলাটা গর্বের ব্যাপার। প্রতিটা ম্যাচ উপভোগ করেছি।” কিন্তু স্পেন কোচ দেল বস্কির মতে, দুটো ম্যাচ না খেলানোর জন্যই হয়তো রেগে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন স্পেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। “অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ভিয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল ও রেগে আছে। কথা বলল না আমার সঙ্গে। সেই কারণেই হয়তো বলেছে আর স্পেনের হয়ে খেলবে না। দেখা যাক ওর সঙ্গে কথা বলব,” বলেছেন স্প্যানিশ কোচ। যাঁর নিজের ভাগ্যই অবশ্য এখনও ঝুলে আছে।
জাভি, জাবি আলোন্সোরা কটাক্ষের মুখে পড়লেও স্প্যানিশ কোচ বলে দিচ্ছেন, কাউকে তিনি অবসর নিতে বাধ্য করবেন না। বয়স বেশি হলেও দলে কোনও ভাল ফুটবলারকে নিতে দ্বিধাবোধ করবেন না। দেল বস্কি বলেন, “স্প্যানিশ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলব। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে। সমাধান বের করতে হবে। কোনও ফুটবলারের বয়স বেশি বলে তাকে দল থেকে বাদ দেব না। নির্ভর করবে কে দলকে বেশি সাহায্য করতে পারবে তার উপরে।”