এর পরও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভাবছেন এই সিরিজে ভুল শোধরানো যাবে! এর পরও রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলছেন, তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। শেন ওয়ার্ন বলছেন, এই ইতিবাচক মানসিকতাটা যদি মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার পর না দেখিয়ে মাঠে দেখাতে পারতেন ধোনিরা, তা হলে ভারতীয় ক্রিকেটকে এই দুঃসময় দেখতে হত না।
দিশাহারা ভারত অধিনায়ক শনিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে দাঁড়িয়ে যখন বলছিলেন, “আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই এমন হল”, তখন মনে হচ্ছিল, এই সত্যিটা তিনি এ দিনই আবিষ্কার করলেন। সিরিজে ১-০ এগিয়ে থাকার পরও ১-২ পিছিয়ে গিয়ে দলের ক্যাপ্টেনের যা অবস্থা হওয়ার কথা, ধোনির হাল সে রকমই। দলের ক্ষতগুলো কিছুতেই এক সাথে ঢাকতে পারছেন না। একটা ঢাকতে গিয়ে আর একটা বেরিয়ে পড়ছে। বলছিলেন, “এই টেস্টে তো বটেই, পুরো সিরিজেই আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি।” বোলারদের যেন কিছুটা আড়ালই করতে চাইলেন। ধোনির বক্তব্য, “বোলারদের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে শুনছি। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানদেরই বেশি শোধরানো দরকার। আমরা যে পঞ্চম বোলার নিয়ে নেমেছি, সে-ই আমাদের রান দিয়েছে। সাত, আট, ন’নম্বরে নেমে রান করেছে ওরা, যেখানে টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়েছে বারবার। ওদের ব্যর্থতা টেল এন্ডাররাই ঢেকেছে।”
টিভি বক্সে বসে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন তারকা শেন ওয়ার্ন বলছিলেন, “সাউদাম্পটন থেকে দেখে আসছি, ভারতীয়রা ভীষণ নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামছে। খুবই ডিফেন্সিভ অ্যাপ্রোচ ওদের। ১-০ এগিয়ে থাকা দল কোথায় বিপক্ষের বোলারদের টুঁটি চেপে ধবে, তা নয়, অবলীলায় ওদের বোলারদের মাথায় চেপে বসতে দিল। এত দাঁত-নখহীন ব্যাটিং ওদের। ইংরেজ বোলাররা ভাল করবে না কেন? ওদের উপর তো কোনও চাপই ছিল না।”
ওয়ার্নের কাছে থাকলেও এই ব্যর্থতার ব্যাখ্যা জানা নেই ভারত অধিনায়কের। বললেন, “ভুলটা খুঁজে বের করা আমার পক্ষে বেশ কঠিন। কয়েকজন ব্যাটসম্যানের খারাপ সময় যাচ্ছে। ভারতের বাইরে এরাই তো ভাল ব্যাট করেছে। এখানে ভালই উইকেট ছিল। কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি।” ব্যর্থদের তালিকায় যেহেতু পূজারা-কোহলিদের নামই সবার উপরে, তাই তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে ধোনিকে। উত্তরে বললেন, “ওপেনাররা বারবার এত ব্যর্থ হচ্ছে যে, পূজারাকে নতুন বলের বিরুদ্ধেই ব্যাট করতে হচ্ছে। ফলে ও থিতু হতে পারছে না। আর কোহলির গত দু-আড়াই বছর ধরে ভাল খেলার পর এখন খারাপ সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা নতুন নয়। আসলে নেটে নয়, আমাদের উইকেটে আরও বেশি সময় কাটাতে হবে।”
কিন্তু বোলিং নিয়ে রহস্যটা রয়েই গেল!
ইংল্যান্ডের পিচ কিন্তু ব্যাটিং সহায়কই। তা সত্ত্বেও আমাদের ব্যাটসম্যানরা মানিয়ে নিতে পারছে না। আমাদের ওপেনাররা বারবার ব্যর্থ হওয়ায় পূজারা নতুন বলের মুখে পড়ে যাচ্ছে। বিরাট বলটা ভালই টাইমিং করছে। কিন্তু ওর একটা ব্যাড প্যাচ চলছে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি