ডিডি-র বেঙ্গল ফ্যাক্টর
দিল্লির হয়ে বাংলার তিন ক্রিকেটার মাঠে নামলে দলটা বাড়তি সুবিধা পাবে। কালিস, গম্ভীর, বিসলা, নারিনদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে তো দিল্লিকে মূল্যবান ইনপুট দিতেই পারে বঙ্গ-ব্রিগেড। লক্ষ্মীকে প্রথম এগারোয় অবশ্যই রাখা উচিত। কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজির ওদের না রাখা নিয়ে লক্ষ্মীদের মনে যে ক্ষোভ আছে, তার জবাব দেওয়ার তাগিদও থাকবে।
শামি বনাম কেকেআর
এ বার ওকে দলে না রেখে যে ভুল করেছে নাইটরা, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করবে শামি। আমি জানি, এই নিয়ে ওর মনে ক্ষোভ আছে। কালিস, গম্ভীর, সাকিবদের সঙ্গে ও খেলেছে। নেটেও ওদের বল করেছে। সেই অভিজ্ঞতাটা এই ম্যাচে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে ও। অবশ্য শামি যেমন ওদের চেনে, কালিসরাও ওকে চেনে। লড়াইটা ভালই জমবে।
টেলর-দুমিনি বনাম নারিন
ডিডি-র মিডল অর্ডারে কার্তিক, মনোজ, টেলর, দুমিনির মতো ব্যাটসম্যান থাকায় দিল্লির ব্যাটিং সামলানো অত সোজা হবে না। দুমিনি ঝড় তুলতে না পারলেও ক্রিজের এক দিক আঁকড়ে পড়ে থাকতে পারে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টেলরকে আটকে রাখা কঠিন। পেসাররা ওকে বেশি শর্ট বল দিলে সর্বনাশ। ওদের জন্য নারিনের সঙ্গে মর্কেলের উপরও নির্ভর করতে হবে। ডেথ ওভারে নারিনকে কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে টেলর শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে।
কেপি-র না থাকা
কেভিন পিটারসেনের মতো ব্যাটসম্যানের না থাকাটা দু’দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর। দিল্লির ক্ষতি আর নাইটদের লাভ। যাকে নিয়ে আলাদা করে ভাবার, সে-ই যখন খেলছে না, তখন গম্ভীরদের কাজটা অনেক কমে গেল। কেপি থাকলে দিল্লির ব্যাটিং যতটা শক্তিশালী হতে পারত, ততটা আর হচ্ছে না।