ম্যাচ ঘোরাতে পারেন যাঁরা। অশ্বিন-কোহলি যুগলবন্দি।
বাইশ গজের অবস্থা
মিরপুরে শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের বাইশ গজের চরিত্র ধোনিরা যে ভাবে চেনে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা ততটা নয়। ভারত এই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচই যেখানে মিরপুরে খেলেছে, সেখানে দু’প্লেসি-রা একটা ম্যাচও এই উইকেটে খেলেনি। এই উইকেটে বল কেমন আসবে, কতটা টার্ন করবে, এ ব্যাপারে ওদের কোনও ধারণা নেই। পিচ অবশ্যই ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেবে।
স্পিনারদের দাপট
মিরপুরের উইকেটে স্পিনাররাই ম্যাচ জেতাচ্ছে। তা সে যে দেশেরই হোক না কেন। ধোনির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, তিন স্পিনারই বিশেষজ্ঞ। এর বাইরে পার্টটাইম স্পিনারও আছে। চাইলে কুড়ির মধ্যে ষোলো ওভারই ও স্পিন দিয়ে চালিয়ে নিতে পারে। ভারতীয় স্পিন কম্বিনেশনটাও দারুণ। লেগ স্পিনার, অফ স্পিনার, বাঁ হাতি স্পিনার। এই স্পিন ত্রয়ীকে সামলাতে ঝামেলায় পড়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দু’প্লেসির হাতে স্পিনার একজনই। ইমরান তাহির। তাহির চার ম্যাচে ১১ উইকেট নিলেও ও একা কতটা বা কী করতে পারে? দুমিনি তো পার্টটাইম। ভারতকে সমস্যায় ফেলতে পারবে বলে মনে হয় না।
কোহলিদের ফর্ম
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রায় সবাই রানের মধ্যে আছে। শুধু ওপেনিং জুটি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা। এ ছাড়া তিন থেকে ছ’নম্বর ব্যাটসম্যান ভাল ফর্মে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ব্যাট করলেও প্রচুর রান তুলতে পারবে। আর রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ওরা তো আরও স্বচ্ছন্দ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পাওয়ার হিটিং
পিচ যতই ভারতীয় স্পিনারদের সাহায্য করুক না কেন, ধোনিকে একটা ব্যাপার মাথায় রাখতেই হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার। ওদের মিডল অর্ডারে একবার চোখ রাখুন। দু’প্লেসি, ডে’ভিলিয়ার্স, মিলার, অ্যালবি মর্কেল। ওদের যা শারীরিক শক্তি মিসহিটও কিন্তু ছয় হতে পারে। ভারতের দুর্বল দিকটা হল ডেথ বোলিং। ডে’ভিলিয়ার্স, মিলার বা অ্যালবি ওই সময় থেকে গেলে কিন্তু ভারতের সমস্যা হয়ে যাবে।
স্টেইন আতঙ্ক
মেজাজে স্টেইন।
পিচ যে রকমই হোক না কেন, ডেল স্টেইন কিন্তু সব সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। ওদের যেমন সে রকম ভাল স্পিনার নেই, আমাদেরও কোনও স্টেইন নেই। যে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। ফর্মে না থাকা ওপেনিং জুটিতে স্টেইন শুরুতে ধাক্কা দিলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারে ভারত।
আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
সন্ধে সাড়ে ছ’টা স্টার স্পোর্টস ওয়ান