কথায় বলে দাবার বোর্ড নাকি ভাল ছেলেদের জন্য। আর বক্সিং রিং ডানপিটেদের আখড়া। কিন্তু যদি দেখা যায় এক রাউন্ড লড়েই দুই বক্সার রিংয়ের মধ্যেই বসে পড়েছে এক দান দাবা খেলতে! ব্যাপারটা শুনতে বেশ অদ্ভূত লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটতে দেখা যাবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে, এই শহরে। দুই মেরুর দুই খেলাকে এক জায়গায় এনে চেসবক্সিংয়ের আসর বসছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে।
আগামী চার দিন রীতিমতো এই খেলার জাতীয় লিগ হতে চলেছে শহরে। যার জন্য মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, কেরল, তামিলনাড়ু, মাহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় দু’শো প্রতিযোগী এসে হাজির। মগজ ও পেশির এমন যুগলবন্দি এর আগে এ দেশে কখনও দেখেনি কেউ। ভারতে এই বেনজির খেলার প্রচারের জন্য হাজির বিশ্ব চেসবক্সিং সংস্থার প্রেসিডেন্ট লেপে রুবিঙ্গ-ও। বুধবার শহরে এসে তিনি জানালেন, “এই খেলার ধারণা নিয়ে যখন আমরা প্রথম প্রচার শুরু করি, তখন এর খেলোয়াড় খুঁজে পেতে আমাদের রাতের ঘুম চলে গিয়েছিল। দাবার নাম শুনলে বক্সাররা পালায়। আর বক্সিং রিংয়ে লড়ার কথা বললে দাবাড়ুরা টেনশনে কাঁপতে শুরু করে। বহু দেশ ঘুরে, দিন-রাত এক করে আপাতত সারা বিশ্বে ২৫টি দেশের হাজার পাঁচেক চেসবক্সার পাওয়া গিয়েছে। ২০০৬ থেকে আমরা নিয়মিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ করে আসছি।” এ বছর এর বিশ্বখেতাবি লড়াই হবে বার্লিন ও মস্কোয়।
এক রাউন্ড বক্সিং, আবার পরের রাউন্ডে রিংয়ের মধ্যেই তিন মিনিটের দাবা। এ ভাবেই এগারো রাউন্ডের শেষে হয় হার-জিতের ফয়সালা।
খুদেদের জাতীয় দাবা: অনুর্ধ্ব ৭ জাতীয় দাবা ১ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর কিশোর ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে। গ্লোবাল চেস ফাউন্ডেশন ও রাজ্য দাবা সংস্থার উদ্যোগে কুড়িটি রাজ্যের প্রায় দু’শো খুদে দাবাড়ু অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়। চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব ৮ বিশ্ব দাবায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে।