দেশের ফুটবল মাঠ থেকে দুর্নীতি এবং ম্যাচ গড়াপেটার ভূত তাড়াতে এ বার স্বচ্ছতা পরীক্ষক আধিকারিক (ইন্টেগ্রিটি অফিসার) নিয়োগের পথেই হাঁটল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। ১ অগস্ট থেকেই এই দায়িত্বে নিযুক্ত হচ্ছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা জাভেদ সিরাজ।
গত বছর ফেডারেশন কর্তারা খবর পান, আই লিগ এবং শুরু হতে চলা ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জাল পাতার চেষ্টা চালাচ্ছে ম্যাচ গড়াপেটার চক্র। ইন্টারপোলের অফিসাররা চলতি বছরের শুরুতে এক কর্মশালার আয়োজন করেন ফেডারেশন কর্তাদের সব রকম ভাবে অবহিত করতে। মরসুমের শুরুতেই ফেডারেশনের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ফুটবল মহল। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলছেন, “গড়াপেটার মতো ঘটনা ভারতীয় ফুটবলে যেন অনুপ্রবেশ না করে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ।” আর স্বচ্ছতা পরীক্ষক আধিকারিক জাভেদ সিরাজ বলছেন, “ফুটবলের বাণিজ্যকরণের সঙ্গে অপরাধচক্র সক্রিয় না হয়ে ওঠে, সেটাই কঠোর ভাবে রুখতে হবে।”
২০১৭ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দল গঠনের ব্যাপারেও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল ফেডারেশন। এ দিনই ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের প্রস্তাবিত বিশেষ টেকনিক্যাল কমিটি গড়ল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে প্রাক্তন ও বর্তমান ভারত অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী ও সালগাওকর কোচ ডেরেক পেরেরাদের রাখা হয়েছে। কমিটিতে থাকবেন জাতীয় টিডি রব বান, কোচ উইম কোভারম্যান্স এবং ফেডারেশন সচিব কুশল দাসও।
এ দিকে এ বারের আই লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজি দল বাড়তে পারে বলে এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্তারা। কুশল দাস জানিয়েছেন, “দুটো ফ্র্যাঞ্চাইজি আই লিগে দল গঠনে আগ্রহ দেখিয়ে দরপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতের দু’টি কর্পোরেট সংস্থা।” তিনি আরও বলেন, “যদি বেঙ্গালুরু এফসি-র মতো আই লিগে খেলতে ইচ্ছুক এই বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি পরিকাঠামোগত শর্ত পালনে সক্ষম হয় তা হলে কোচি এবং পুণে বা মুম্বই থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দল খেলতে দেখা যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।” এএফসি-র শর্ত না মানায় তেরো দলের আই লিগ থেকে রাঙ্গদাজিদ, চার্চিল ব্রাদার্স এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস বেরিয়ে গিয়েছে। যদি দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল যুক্ত হয় তা হলে দল বাড়তে পারে আই লিগে।