আত্মবিশ্বাসী এটো। ক্যামেরুনের প্র্যাকটিসে। ছবি: এএফপি।
টুর্নামেন্টে ‘ফেভারিটদের’ তালিকায় নেই তারা। ব্রাজিলের সঙ্গে এক গ্রুপে লড়তে হবে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৯০ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পৌঁছনো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও ঘটনা নেই। তবুও ২০১৪ বিশ্বকাপে অঘটন ঘটাতে পারে ক্যামেরুন। বদলে দিতে পারে টুর্নামেন্টের ছবি। অবশেষে সময় এসেছে বিশ্বকাপের মঞ্চে আবার আফ্রিকান-দাপটের। এমনটাই বিশ্বাস করেন ক্যামেরুনের অধিনায়ক স্যামুয়েল এটো।
ব্রাজিলের গ্রুপে থাকা রজার মিল্লার দেশের অধিনায়ক বলছেন, “এই বছর কিন্তু আফ্রিকার দলগুলো ভাল খেলবে ব্রাজিলে। তার অনেক কারণ আছে। প্রতিটা ইউরোপীয় টুর্নামেন্টেই আফ্রিকান ফুটবলাররা দারুণ খেলে। কিন্তু দেশের সরকারের থেকে কোনও সম্মান পায় না বলেই অন্য দেশগুলো ছোট করে দেখে আফ্রিকানদের। আশা করছি ব্রাজিল বিশ্বকাপে এই পরিস্থিতিটা অবশেষে পাল্টাবে।”
ব্রাজিলের ঘরের মাঠে নেইমারদের বিরুদ্ধে খেলতে হলেও, তাতে ভয় নেই ক্যামেরুনের। বরং স্কোলারির দলকে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে এটো বলেন, “গ্রুপ এ-র প্রতিটা দলের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। এটা সত্যিই ঘরের মাঠে আরও বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে ব্রাজিল। কিন্তু ওদের ভয় পাচ্ছে না আমার দল। ২০০০ সালে রোনাল্ডিনহোর মতো ফুটবলার থাকাকালীনও ব্রাজিলকে হারিয়েছিল ক্যামেরুন। আমি কিন্তু ভয় পাচ্ছি না।”
নিজের দলের তরফ থেকে শক্তিশালী খেলা আশা করলেও এটোর মতে এখন মহাদেশের সেরা বাজি কিন্তু ক্যামেরুন নয়, আইভরি কোস্ট। যে দলে রয়েছেন ইয়াইয়া তোরে, দিদিয়ের দ্রোগবার মতো বিশ্বমানের প্রতিভারা। এটো বলেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আইভরি কোস্ট আফ্রিকার সেরা দল। কিন্তু গত দুটো বিশ্বকাপে ভাল খেলতে পারেনি ওরা। তাই সময় এসেছে যখন সব তারকাকে একজোট হয়ে ভাল খেলতে হবে। শুধু খাতায় কলমে ভাল হলে হবে না।” বর্তমানে তিনি নিজে মহাদেশের সেরা ফুটবলার নন। বরং সেই স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ইয়াইয়া তোরের। এটোর সংযোজন, “তোরে অবিশ্বাস্য এক প্রতিভা। ও বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে একজন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে দিনের পর দিন ভাল খেলছে ও। আশা করছি বিশ্বকাপেও ও দারুণ খেলবে।”
এটো আত্মবিশ্বাসী থাকলেও বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ১-২ হেরে গেল ক্যামেরুন। যদিও ম্যাচে খেলেননি ক্যামেরুনের প্রথম দলের অধিকাংশ তারকারা। দলের কোচ ভলকার ফিঙ্কে বলেন, “আমাদের গ্রুপ শক্ত। কিন্তু ছুটি কাটাতে যাচ্ছি না ব্রাজিলে। গ্রুপ পর্ব পার করাই লক্ষ্য আমাদের।”