সান্ত্বনা। ম্যাচ শুরুর আগে ওয়াটসনের সঙ্গে শেন ওয়ার্ন। বুধবার। ছবি: রয়টার্স।
ফর্মে ফেরার মোক্ষম সুযোগ ছিল বুধবারের দুর্বল আফগানিস্তান ম্যাচ। খেলাটাও ওয়াকায়। কিন্তু পারথের বাউন্সের সামনে আফগানদের নাজেহাল করার ‘চান্স’টাই পেলেন কোথায় শেন ওয়াটসন!
সাত বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও চোট ছাড়া অন্য কারণে দলের বাইরে তিনি। আবার চোট সারিয়ে অলরাউন্ডার জেমস ফকনার দলে ফেরায় ওয়াটসনকে এ দিন বাইরে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। এ বারের বিশ্বকাপে শুরুটাও আহামরি হয়নি তাঁর। ইংল্যান্ড ম্যাচে কোনও রান না করে আউট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩। বল হাতে উইকেট তুলতে ব্যর্থ।
উল্টে বুধবার ওয়াটসনের জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে স্টিভ স্মিথ করে গেলেন ৯৫ রান। দু’বারের অ্যালান বর্ডার পদকজয়ী, তিন বারের অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের এ বার তাই কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। সতীর্থদের মধ্যে কেউ চোট না পেলে ওয়াটসনের দলে ফেরার সম্ভবত সুযোগ নেই।
এর আগেও তাঁর ওয়ান ডে আর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। যার প্রধান কারণ ফর্মে খরা। অস্ট্রেলীয় নির্বাচকরা তবু ওয়াটসনের উপর ভরসা রেখেছিলেন দলের ভারসাম্য রাখার জন্য। কিন্তু ফকনারের দলে ফিরে আসা আর মিচেল মার্শের দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ওয়াটসনের জাতীয় দলের জায়গাটা নড়বড়ে করে দিয়েছে।
সেই জন্যই কি ওয়াকার মাঠে এক শেনকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেল আর এক শেনকে?
অজি নির্বাচক প্রধান রড মার্শ যদিও সতর্ক করছেন বুধবার দলে যা পরিবর্তন হয়েছে সেটা নিয়ে আগাম কিছু ধরে না নিতে। কিন্তু তাতেও ওয়াটসনের কেরিয়ার নিয়ে আশঙ্কা যাচ্ছে না। গত ১০ ম্যাচে ওয়াটসনের ২৪৫ রান আর দুটো উইকেটের পরিসংখ্যানকে সামনে রেখেও মার্শ বলেছেন, “ওয়াটসনকে বাইরে রাখাটা বড় সিদ্ধান্ত। দুর্ভাগ্যবশত ওর শুরুটা ভাল হলেও সেটা ধরে রাখতে পারছে না। আর আমাদের জেমসকে দলে রাখতেই হত। তার জন্য কাউকে তো বাইরে যেতেই হবে। তবে এই নিয়ে বেশি কিছু ধরে নেওয়াটা ঠিক হবে না। শেনকে এই ম্যাচে বাইরে থাকতে হয়েছে আপাতত এটাই।”
কিন্তু প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। ওয়াটসনকে বাইরে পাঠিয়ে কি চরম সতর্কবার্তা পাঠাল অজি বোর্ড?