ভিশন ২০২০-র ব্যাটিং কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণ শুক্রবার শহরে আসছেন না শুনে ‘স্বস্তি’র নিঃশ্বাস ফেলছেন বাংলা ক্রিকেটারদের কেউ কেউ।
অবাক লাগতে পারে। প্রশ্ন জাগতে পারে, ভিভিএসের মতো প্রবাদপ্রতিমের কাছে ব্যাটিং-প্রশিক্ষণ কেউ হাতছাড়া করে নাকি? ঘটনা হল, শুক্রবার লক্ষ্মণ এলে ভিশনের ক্রিকেটারদের সকালে প্রথমে ভিভিএস-ট্রেনিং, তার পর দুপুরে জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ম্যাচে নামতে হত। সেটা যথেষ্ট চাপের বলে মনে হচ্ছিল ক্রিকেটারদের।
শুক্রবার সিএবি-র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির আটটি ম্যাচ রয়েছে শহরের বিভিন্ন মাঠে। ভিশনের প্রায় সব ক্রিকেটারই সেই ম্যাচগুলিতে খেলবেন। তাঁদের কারও কারও মনে হচ্ছে, লক্ষ্মণের ১৯ ডিসেম্বরের বদলে ২২ ডিসেম্বরে আসার খবরে ম্যাচটা মন দিয়ে খেলা যাবে। রঞ্জি ম্যাচ খেলে ওঠার এক দিনের মধ্যে যদি এমন শিডিউলে পড়তে হত, তাতে নাকি সামলানো কঠিন হত।
এবং ভিভিএসের আসা নিয়ে সিএবি-নাটকও কম অবাক করা নয়। প্রথমে খবর ছড়িয়ে যায়, লক্ষ্মণ আসছেন ১৯ ডিসেম্বর। ক্রিকেটাররাও সেটা জানতেন। সেই মতো প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু সেটা এ দিন আচমকাই পাল্টে যায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়, লক্ষ্মণ ‘ভিশন ২০২০’-র প্রোজেক্টে আসবেন। কিন্তু ১৯-এর বদলে ২২ ডিসেম্বর। যে পরিবর্তনের খবর আবার সন্ধে পর্যন্ত ক্রিকেটাররা জানতেন না। রাতের দিকে সিএবি থেকে তাঁদের জানানো হয়। কিন্তু ভিভিএস আচমকা কেন দেরিতে আসছেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। বরং সিএবি যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, “লক্ষ্মণের শুক্রবার আসার কথা ছিল? তেমন কিছু ঠিক ছিল না তো। কোথা থেকে খবর রটেছিল জানি না। ওর রবিবার আসার কথা ছিল। তার জায়গায় সোমবার আসবে।”
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ক্রিকেটাররা তাঁর শুক্রবার আসার খবর জানতে পারলেন কোথা থেকে? সিএবি-র একাংশের অভিযোগ, বঙ্গ ক্রিকেটের প্রশাসনে এমন ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ ইদানীং প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফি নিয়ে গণ্ডগোলটা চলছে বেশি। কখনও ম্যাচ দিয়ে ‘মাঠ ছোট’ বলে ম্যাচ পিছনো হচ্ছে। কখনও আবার দু’দল মাঠে গিয়ে হাজির হওয়ার পর মাঠকর্মীরা জানতে পারছে, আজ ম্যাচ আছে!
সে যা-ই হোক, রঞ্জিতে পরবর্তী মুম্বই ম্যাচের আগে লক্ষ্মণকে পেলে বাংলা উপকৃত হবে বলেই মনে হচ্ছে বাংলা কোচ অশোক মলহোত্রের। বলছেন, “বিশাল কোনও পরিবর্তন হবে কি না জানি না। তবে কিছু লাভ তো হবেই।” লক্ষণ যে দিন শহরে পা রাখবেন, সে দিন ফের প্র্যকটিস শুরু করছে বাংলা। ফলে এই প্রস্তুতির শুরু থেকেই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানকে পেয়ে যাবেন মনোজ, সুদীপ, শ্রীবত্স, অরিন্দমরা। যেটা ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছেন কোচ। প্রসঙ্গত, মাথায় আঘাতের পর মনোজ তিওয়ারি এখন অনেক সুস্থ। এ দিনটা তিনি বিশ্রামেই কাটালেন।