দু’বছর আগে আমি বলেছিলাম, আইপিএল জয়টা আমার কেরিয়ারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা। আর সেই সাফল্যের স্বাদটা আবার পাওয়ার লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ফলে এ বারের আইপিএলটা আমার কাছে একটু অন্য রকমের। এর আগেও আমি নিজের একশো শতাংশই দিয়েছি আইপিএলে। কিন্তু এ বার একটা চিন্তামুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারব। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পরের টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য ফিট থাকতে হবে, এই চিন্তাটা এখন আর নেই।
তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলার জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই রাস্তায় আইপিএলটাই প্রথম ধাপ। বিশ্বকাপের আগে দেশের হয়ে গোটা তিরিশেক ওয়ান ডে খেলার সুযোগ পাব। কিন্তু সবার আগে নিজের কাছে, কেকেআরের কাছে আমাকে ফর্ম আর ফিটনেসের প্রমাণ দিতে হবে। তার পর তো ও সব ভাবনা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে আমি অনেক ভেবেছি। আমার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু আগামী সাত সপ্তাহে এ সব নয়, আমার মাথায় শুধু থাকবে কেকেআরের আইপিএল অভিযান।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে জায়গা পাওয়ার জন্য যে রকম আমাদের লড়তে হয়, কেকেআরের টিমে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারেও আমি কোনও সুবিধে আশা করতে পারি না। করছিও না। কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে আবার টিমে নেওয়ায় সত্যিই আমি খুশি হয়েছিলাম। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সেট আপ, প্লেয়ারদের মধ্যে সম্পর্ক সব কিছুই আমার ভাল লাগে। কিন্তু ফর্ম হল ফর্ম। নাম-টাম ব্যাপারগুলো পরে আসবে।
নতুন মুখ, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা এই টুর্নামেন্টে নামছি। এতে ভালই হবে। ক্রিকেটে তো বটেই, সব টিম স্পোটর্সেই প্লেয়ারদের মধ্যে সম্পর্কটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই যে টিমগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা মজবুত করতে পারবে, তাদের তত সুবিধে হবে। জানি, আমি খুব ‘চুপচাপ’ এ রকম একটা চালু ধারণা আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি টিম তৈরিতে যোগ দিই না!
আমি নিজে কখনও ভবিষ্যদ্বাণী করি না। আর আইপিএল সেভেনের শুরুতে কেন কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করার ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে চাইবে, সেটাও বুঝতে পারছি না। এত বদল হয়েছে, এত তারকা, এত অস্তমিত সূর্য, এত হারিয়ে যাওয়া তারা! ওরা আমাদের সবাইকে বোকা বানাতে পারে!