আর্মান্দো কোলাসো বিদায়ের পর ডুডু-র্যান্টিদের নিয়ে দু’দিনের বেশি অনুশীলন করানোর সময় পাননি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার লাল-হলুদ কোচ হিসেবে অভিষেক হচ্ছে ডাচ কোচ এলকো সতৌরির। তাও দেশের মাটিতে নয়, মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের গ্রুপ ‘এফ’ ম্যাচে। যেখানে লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাকজিম। এএফসি কাপে ৮ বার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালও। নিজের অভিষেক ম্যাচের আগে সতৌরির বার্তা, “অনুশীলন হয়েছে মাত্র দু’দিন। তবে ফুটবলে কখন কী হয় কেউ জানে না। জেতার চেষ্টা করব। তবে ড্র হলেও অখুশি হব না।”
সতৌরির প্রতিপক্ষ জোহর দারুল চলতি বছরই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চ্যারিটি শিল্ডে। চলতি মাসের শুরুতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়েছে তারা। যদিও শেষ তিন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। তাকজিমের ক্রোয়েশীয় কোচ বোজান হোদাক বলছেন, “ওদের র্যান্টি-ডুডু গোলের সামনে বিপজ্জনক। তার জন্য আমার রক্ষণ তৈরি। তবে মালয়েশিয়ান সুপার লিগ সদ্য শুরু হওয়ায় টিম পুরো ম্যাচ ফিট নয়।”
চোটের জন্য দলের সঙ্গে মালয়েশিয়া যাননি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা। তাকজিমের বিরুদ্ধে তাই অধিনায়কত্ব করবেন স্টপার গুরবিন্দর সিংহ। মালয়েশিয়া থেকে গুরবিন্দর খোশ মেজাজেই জানাচ্ছেন, “টিমের মনোবল বেশ চাঙ্গা। এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই ভাল খেলার জন্য ফুটছে গোটা টিম।”
বৃষ্টির জন্য এ দিন জোহর বাহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে বিকেলে হোটেল লাগোয়া মাঠে অনুশীলন করান সতৌরি। লাল-হলুদ কোচের চিন্তা তাঁর দলের রক্ষণ এবং গোলকিপার নিয়ে। সে কথা গোপনও করছেন না। “রক্ষণ ও কিপারদের অল্প সময়ে দেখে নিতে পারিনি। তাকজিমের সাম্প্রতিক কয়েকটা ম্যাচের ক্লিপিংস দেখেছি। আক্রমণে আর্জেন্তিনীয় জোড়া ফলা জর্জ দিয়াজ আর লুসিয়ানো হেরেরা বেশ ভাল। গতি আর সেটপিস টিমটার বড় অস্ত্র।” টিম সূত্রে খবর, তাকজিমের বিরুদ্ধে লুই ব্যারেটো আর মহম্মদ রফিককে প্রথম দলে রাখতে পারে সতৌরি। গত এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় স্টপার অর্ণব মণ্ডল নেই এই ম্যাচে। সাসপেনশনে থাকা ফুটবলারকে মালয়েশিয়ায় কেন বয়ে আনা হল তা নিয়ে কাঠগড়ায় লাল-হলুদ প্রশাসন।
মঙ্গলবার
এএফসি কাপ: ইস্টবেঙ্গল-জোহর দারুল তাকজিম (মালয়েশিয়া, ভারতীয় সময় ৬-১৫), বেঙ্গালুরু এফসি-মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন (বেঙ্গালুরু, ৭-৩০)।