কোপাকাবানা তটে

মেসি কেন ফাউল করে কার্ড দেখে না, উত্তেজিত দাবি বেলজিয়ান কোচের

এই প্রথম আর্জেন্তিনা ম্যাচে সেরার পুরস্কার নিতে লিওনেল মেসির ঝকঝকে চেহারাটা ঢুকছে না। কিন্তু যিনি এলেন, সেই গঞ্জালো ইগুয়াইনও আজ যে মেসিচিত!দেশে ব্যান্ড পার্টি রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে শুনেও যাঁর মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। বরং বলেন, “আসল স্বপ্নটা পূর্ণ হওয়া থেকে আমরা এখনও দুটো ধাপ দূরে। ওই দুটো ধাপ আগে শেষ করি। তার পর সব আনন্দ।” দি’মারিয়া যে ভাবে চোট পেলেন, তিনিও কি নেইমারের রাস্তায়?

Advertisement

গৌতম ভট্টাচার্য

ব্রাসিলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৭
Share:

এই মেসিকে নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন বেলজিয়ান কোচ। শনিবার ব্রাসিলিয়ায়। ছবি: এএফপি

এই প্রথম আর্জেন্তিনা ম্যাচে সেরার পুরস্কার নিতে লিওনেল মেসির ঝকঝকে চেহারাটা ঢুকছে না। কিন্তু যিনি এলেন, সেই গঞ্জালো ইগুয়াইনও আজ যে মেসিচিত!

Advertisement

দেশে ব্যান্ড পার্টি রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে শুনেও যাঁর মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। বরং বলেন, “আসল স্বপ্নটা পূর্ণ হওয়া থেকে আমরা এখনও দুটো ধাপ দূরে। ওই দুটো ধাপ আগে শেষ করি। তার পর সব আনন্দ।” দি’মারিয়া যে ভাবে চোট পেলেন, তিনিও কি নেইমারের রাস্তায়?

লক্ষ লক্ষ আর্জেন্টাইন সমর্থককে আশ্বস্ত করার মতো খবর দিয়ে ইগুয়াইন বললেন, “আশা করছি দি’মারিয়া পরের ম্যাচেই সুস্থ হয়ে যাবে। ও আমাদের খুব ইম্পর্ট্যান্ট প্লেয়ার। ওর আর মেসির কাছে আমি টুর্নামেন্টে আমার প্রথম গোলটার জন্য কৃতজ্ঞ।”

Advertisement

আর্জেন্টাইন প্রেস চব্বিশ বছর পর সেমিফাইনালে উঠে এত উত্তেজিত ছিল যে, ইগুয়াইন বা সাবেয়াকে তার আগে হয়ে যাওয়া বেলজিয়ান কোচের মন্তব্যগুলো নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।

মাঠে বেলজিয়ানদের ধরে ধরে হাফলাইন পর্যন্ত ক্রমাগত পাস খেলে যাওয়া যেমন দুর্বোধ্য লেগেছে, তেমনই দুর্বোধ্য বেলজিয়ান কোচ মার্ক উইলমটসের খেলার পর এসে হঠাৎ করে বলে যাওয়া, আর্জেন্তিনার খেলা দেখে তিনি বিস্মিত। এত নেগেটিভ কী করে একটা টিম খেলতে পারে?

“একেবারে অর্ডিনারি টিম আর্জেন্তিনা। ছিঃ ছিঃ। যত আমার ছেলেরা বল খেলায় আনছে, ওরা তত বাইরে বের করে দিচ্ছে।”

“ড্রেসিংরুমে দেখে এলাম আমার সাপোর্ট স্টাফও মন খারাপ করে কাঁদছে। কিন্তু কাঁদার কী আছে? খেলেছি তো আমরা। ফাঁকতালে একটা গোল শুধু পেয়ে গিয়েছে। এমন কোনও টিমই নয় আর্জেন্তিনা।”

“মেসি খুব বুদ্ধির খেলা খেলেছে। বল ধরে ধরে টিমকে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছিল ও। কিন্তু মেসি খুব ভাগ্যবান। রেফারিরা বরাবর মেসিকে টেনেই খেলায়। মেসি হল রেফারিদের বরপুত্র। আজ ও তিনটে ফাউল করেছে, এক বারও রেফারির কার্ড বেরোয়নি।”

লিওনেল মেসি তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠার দিনেই কি না প্রথম এমন দাবির মধ্যে পড়লেন যে, রেফারি তাঁকে টেনে খেলায়। ম্যাচে অবশ্য উল্টোটাই দেখা গিয়েছিল যে, বেলজিয়ান ডিফেন্স যেন তেন প্রকারেণ তাঁকে সামলাচ্ছে।

নাকি আমরা যে ম্যাচটা দেখলাম আর উইলমটস যেটা দেখছিলেন, দুটো আলাদা খেলা? কাল থেকে বিশ্বের নানান প্রান্তে এটা ফুটবলপ্রেমীদের প্রশ্ন হতে বাধ্য!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন