মেসির জার্সি নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না ইরানের

স্টেডিয়ামের টানেল থেকে লাইন দিয়ে বেরনো। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া। সব কিছুই এক রকম প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বকাপে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে আবার যোগ হয়েছে ম্যাচ শেষে বিপক্ষ দলের প্রিয় ফুটবলারের সঙ্গে জার্সি অদলবদল করা। বছরের পর বছর বহু তরুণ তারকারা স্বীকার করেছে যে বিশ্বকাপে খেলা ছাড়াও তাঁদের লক্ষ্য থাকে নিজের ‘আইডলের’ জার্সি নেওয়া। অনেকে তো আবার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে চলে যান দুনিয়াকে দেখাতে যে রোনাল্ডো বা ফিগোর জার্সি নিতে সফল হয়েছে তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৪ ০৩:০৫
Share:

ইরানের সেই ‘মহার্ঘ্য’ জার্সি

স্টেডিয়ামের টানেল থেকে লাইন দিয়ে বেরনো। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া। সব কিছুই এক রকম প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বকাপে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে আবার যোগ হয়েছে ম্যাচ শেষে বিপক্ষ দলের প্রিয় ফুটবলারের সঙ্গে জার্সি অদলবদল করা।

Advertisement

বছরের পর বছর বহু তরুণ তারকারা স্বীকার করেছে যে বিশ্বকাপে খেলা ছাড়াও তাঁদের লক্ষ্য থাকে নিজের ‘আইডলের’ জার্সি নেওয়া। অনেকে তো আবার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে চলে যান দুনিয়াকে দেখাতে যে রোনাল্ডো বা ফিগোর জার্সি নিতে সফল হয়েছে তাঁরা। কিন্তু এই বছর লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে খেললেও তাঁর জার্সি নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন ইরানের ফুটবলাররা।

কারণটা কী? পুরো বিশ্বকাপেই যে একটা জার্সি পরে কাটাতে হবে কার্লোজ কুইরজের দলকে। অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য ঠিক হয়েছে মোটে ৮০ লক্ষ ডলার খরচ করা হবে ইরানের জাতীয় দলের উপরে। যে কারণে একটা জার্সি পরেই গোটা বিশ্বকাপ খেলতে হবে ইরানের ফুটবলারদের, জানিয়েছে ইরান ফুটবল সংস্থা। এই কারণে ইরান কোচ আগে ভাগেই দলের ফুটবলারদের সতর্ক করে দিয়েছেন, যে ভুলেও যাতে নিজের নায়কের সঙ্গে জার্সি অদলবদল না করেন তাঁরা। প্রিয় ফুটবলারের জার্সি নেওয়ার লোভ কেউ দেখালে, জার্সি সঙ্কটে পড়ে যাবে দল। ইরান ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট আলি কাফাশচিয়ান বলেন, “আমরা প্রতিটা ম্যাচের জন্য জার্সি দিতে পারব না ফুটবলারদের। ওদের সেটা বুঝতে হবে।” তাই মেসি বা আগেরোর জার্সি নেওয়ার স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে ইরানের জন্য।

Advertisement

ইরানের গ্রুপে আর্জেন্তিনা, নাইজিরিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষরা আছে। কিন্তু কুইরজের দলকে কোনওভাবেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না আর্জেন্তিনা। দলের তারকা ফরোয়ার্ড সের্জিও আগেরো বলেন, “বিশ্বকাপে কোনও দলকে হাল্কা ভাবে নেওয়া মানে নিজের দলের জন্য বিপদ ডেকে আনা। প্রতিটা দলের ক্ষমতা আছে ভাল খেলার। গ্রুপের কোনও দলকেই ছোট ভাবে নিচ্ছি না।” সঙ্গে আগেরোর মতে বিশ্বকাপ জেতার ‘ফেভারিট’ কিন্তু কোনও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ। আগেরো বলছেন, “ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় অবশ্যই ব্রাজিলের জেতার সুযোগ আছে। সঙ্গে আর্জেন্তিনা, উরুগুয়ের সব ফুটবলার ভাল করে জানে দক্ষিণ আমেরিকার পরিবেশ বা মাঠ। সে ক্ষেত্রে ইউরোপের দলগুলোর সমস্যা হতে পারে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement