ছাঁটাই হচ্ছেন করিম

মোহনবাগান কোচ হওয়ার পথে সুভাষ

করিম বেঞ্চারিফার চাকরি যাচ্ছেই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বাগানের নতুন কোচ হতে চলেছেন সুভাষ ভৌমিক। যিনি বুধবারই গোয়ায় ইস্টবেঙ্গলের আই লিগের স্বপ্নের ফানুস ফুটো করে দিয়েছেন। এ দিন ক্লাব-তাঁবুতে নতুন টেকনিক্যাল কমিটির প্রথম সভার পর চার জনের নাম অবশ্য ভাসিয়ে রেখেছেন কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৫
Share:

করিম বেঞ্চারিফার চাকরি যাচ্ছেই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বাগানের নতুন কোচ হতে চলেছেন সুভাষ ভৌমিক। যিনি বুধবারই গোয়ায় ইস্টবেঙ্গলের আই লিগের স্বপ্নের ফানুস ফুটো করে দিয়েছেন।

Advertisement

এ দিন ক্লাব-তাঁবুতে নতুন টেকনিক্যাল কমিটির প্রথম সভার পর চার জনের নাম অবশ্য ভাসিয়ে রেখেছেন কর্তারা। সেখানে করিমের সঙ্গে রয়েছেন সুভাষ ভৌমিক, ট্রেভর জেমস মর্গ্যান এবং এলকো সাতোরির নাম। তবে এটা নিতান্তই ধোঁয়াশা ছড়িয়ে রাখার জন্য। মোহনবাগানের এখনও আই লিগে একটি ম্যাচ বাকি। কর্তারা তাই সৌজন্যবশতই করিমের নাম কোচের তালিকায় রেখেছেন। কিন্তু ক্লাব সূত্রের খবর, সুভাষের সঙ্গে কথা বলেই পরের বারের দল গঠন নিয়ে এগোচ্ছেন কর্তারা। যদি করিমকেই রাখা হত, তবে এ দিনই তাঁর নাম পরের বারের জন্য ঘোষণা করে দেওয়া হত। জানা গিয়েছে, ২৭ এপ্রিল লাজং এফসি-র সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলার পরই সরকারী ভাবে সুভাষের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে।

সুভাষকে বেছে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে দু’টি অঙ্ক। এক) বাঙালি কোচেদের মধ্যে সুভাষেরই একমাত্র তিনটি আই লিগ রয়েছে। দুই) চার বছর পর ট্রফির খরা কাটাতে বাঙালি আবেগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। তাঁদের ধারণা, বিদেশি ফুটবলার বাছার ক্ষেত্রেও সুভাষ অনেক বেশি কার্যকর। এবং সিনিয়র, জুনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। কিন্তু এএফসির যা গাইডলাইন তাতে আটকে যেতে পারে সুভাষ। কারণ তার কোনও লাইসেন্স নেই। মোহনবাগানের এক কর্তা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ফেডারেশনের অফিসে গিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করে এসেছেন। তা সত্ত্বেও যদি দেশের অন্যতম সফল কোচ আটকে যান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বা ম্যানেজার করা হবে। সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হবে একজন এ-লাইসেন্স কোচ। এ সম্পর্কে সুভাষ এবং মোহন কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এ দিন শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কম্পটন দত্তদের সঙ্গে আলোচনার পর অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “কোচ এবং অন্যান্য সব বিষয়ে আলোচনা করেছি। ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা যা বলার আই লিগের শেষ ম্যাচের পর বলব।” করিমকে বাতিল করার পেছনে অন্যতম কারণ, তাঁর পারফরম্যান্স। পুরো মরসুম তাঁকে কোচ রাখা সত্ত্বেও তিনি কোনও ট্রফি দিতে পারেননি। অথচ তাঁর সঙ্গে কথা বলেই টিম করা হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন কর্তারা। এ ছাড়াও ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও তিনি যে ভাবে ছুটি নিয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন সেটাও ভাল ভাবে নেননি কর্তারা। পাশাপাশি ক্লাব কর্মীদের সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্বও বেড়ে গেছে। করিম-ওডাফা দু’জনকেই বাতিল করার সিদ্ধান্ত মাস খানেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। সুভাষের সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় পাকা হয়ে যাওয়ায় ওডাফার পরিবর্তে কাকে নেওয়া হবে তা নিয়ে বর্তমান চার্চিল টিডির সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, এ বারের বিদেশি নির্বাচনে বড় চমক থাকছে। সোনি নর্ডি, বিলাল, র্যান্টি মার্টিন্স, শাবানাদের মধ্য থেকেই হয়তো বাছা হবে বিদেশি।

Advertisement

অন্য খেলায়

এফসিআই-এর ফুটবল ট্রায়াল শুরু বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে ক্লাবের মাঠেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন