হায়দরাবাদের নেটে রায়ডু। শনিবার। ছবি: পিটিআই
শিখর ধবন আর অজিঙ্ক রাহানের পর এ বার সুযোগটা এসেছিল অম্বাতি রায়ডুর সামনে। আর সেটার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে নিজের টিম এবং বিশেষ করে নির্বাচকদের জন্য জোরদার একটা বার্তা পাঠাল ছেলেটা যে, তোমরা আমাকে গভীর জলে ছুড়ে ফেলতেই পারো। কিন্তু আমি ডুবব না। সাঁতরে পেরিয়ে গিয়ে ঠিক কিনারা খুঁজে নেব!
মনে আছে, ইংল্যান্ড সফরে নটিংহ্যামে আমরা রান তাড়া করছিলাম। ওই ম্যাচে রায়ডুকে চারে নামানো হয়েছিল এবং ভাল ব্যাট করেছিল। আমদাবাদে ওকে তিনে নামানো হল আর বড় সেঞ্চুরি করে দেখিয়ে দিল। একজন উঠতি ক্রিকেটারের মধ্যে এটা কিন্তু একটা খুব বড় গুণ। যেখানেই নামানো হোক বা যে কোনও পরিস্থিতিতে, সে ঠিক পারফর্ম করে বেরিয়ে যাচ্ছে। রায়ডুর উন্নতিটা সত্যিই তারিফযোগ্য। ছেলেটার কেরিয়ার সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু মানতেই হবে, বারবার চাপের মুখে খেলতে নেমে ও দারুণ দক্ষতার সঙ্গে ব্যাট করছে। রায়ডু প্রতিভাবান। আর আমদাবাদে যে ভাবে ব্যাট করল, সেটা ভারতীয় টপ-অর্ডারের জন্য সুখবর। বিশ্বকাপের আগে ভারতের জন্য বড় প্রাপ্তিও।
শ্রীলঙ্কা আবার নিজেদের ছন্দটাই খুঁজে পাচ্ছে না। টিমটাকে দেখে একবারও মনে হচ্ছে না ওদের মধ্যে জেতার কোনও তাগিদ রয়েছে। এই সিরিজে ওরা অভিজ্ঞ বোলারদের বিশ্রাম দিয়েছে যাতে বিশ্বকাপের আগে নতুনদের দেখে নিতে পারে। কিন্তু দলের তো একটা ভারসাম্য থাকবে। বিশেষ করে তোমরা যেখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা একদিনের টিমের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে এসেছ। একমাত্র ধামিকা প্রসাদকে দেখে মনে হচ্ছে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে পুরনো বলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারছে না শ্রীলঙ্কার বোলাররা। প্রথম দু’টো ম্যাচের স্কোরই সেটা বলে দিচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংটাও সমস্যা হচ্ছে। দিলশান, সঙ্গকারা, মাহেলা শুরুটা ভাল করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। ওদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের জানার কথা যে, ভারতীয় উইকেট মানে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ। এখানে ব্যাট করা বিশ্বের অন্য যে কোনও উইকেটে ব্যাট করার থেকে আলাদা। ভারতীয় উইকেটে আগে ব্যাট করে ৩০০-৩২৫ কম করে তুলতে না পারলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায় না। আজ হায়দরাবাদে আর একটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পাবে ওরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা, বিশেষ করে ওদের মিডল অর্ডার যদি তার ফায়দা তুলতে না পারে, তা হলে কিন্তু আজও সমস্যায় পড়বে ওরা।