লা লিগা থেকে কার্যত ছিটকে গেল বার্সেলোনা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার তিন দিন পরেই ঘরোয়া লিগে বড় ধাক্কা খেল বার্সেলোনা। লা লিগায় অবনমনের দিকে ঝুঁকে থাকা ক্লাব গ্রানাডার কাছে ০-১ হেরে গেলেন লিওনেল মেসিরা। যে হারে বার্সা লা লিগা খেতাব জয়ের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে গেল। শুধু তাই নয়, বুধবার কোপা দেল রে ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে নামার আগে এই ব্যর্থতা যে মেসিদের আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত, সন্দেহ নেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৫
Share:

হতাশ মেসি। ছবি: এএফপি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার তিন দিন পরেই ঘরোয়া লিগে বড় ধাক্কা খেল বার্সেলোনা।

Advertisement

লা লিগায় অবনমনের দিকে ঝুঁকে থাকা ক্লাব গ্রানাডার কাছে ০-১ হেরে গেলেন লিওনেল মেসিরা। যে হারে বার্সা লা লিগা খেতাব জয়ের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে গেল। শুধু তাই নয়, বুধবার কোপা দেল রে ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে নামার আগে এই ব্যর্থতা যে মেসিদের আত্মবিশ্বাসেও বড়সড় আঘাত, সন্দেহ নেই।

বার্সা কোচ জেরার্দো মার্টিনো দলে চারটি পরিবর্তন করেছিলেন গত রাতে। ফুল ব্যাকে আদ্রিয়ানো আর মার্টিন মনতায়া, হোল্ডিং মিডফিল্ডে মাসচেরানো আর বুস্কেতস। তবু কাতালান ডিফেন্সের দুর্বলতা গোড়াতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। আলজিরিয়ার ব্রাহিমির গোলে যখন এগিয়ে যায় গ্রানাডা। বাকি সময় বার্সার দাপট থাকলেও সেই গোল আর শোধ হয়নি। সব মিলিয়ে ৩০টি গোলমুখী শট আর ৮০ শতাংশ বলের দখল রেখেও কাজের কাজ করতে পারেননি মেসিরা।

Advertisement

বার্সার বিপর্যয়ের প্রথম কারণ যদি হয় ফিনিশিংয়ের অভাব, তা হলে দ্বিতীয়টা গ্রানাডার কারনেজিসের দুরন্ত গোলকিপিং।

দলের পরপর দু’টো ধাক্কা সত্ত্বেও অবশ্য বার্সা কোচ অখুশি নন। “আমরা গোল করার জন্য যা যা করা সম্ভব, সব করেছি। শুধু একটাই অভাব ছিল আমাদের ফুটবলে। সেটা হল, ফিনিশ করতে না পারা। সেটাই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিল। আমাদের হাতে আর কিছু নেই। কিন্তু প্লেয়ারদের থেকে আমি এর থেকে বেশি কিছু চাইতে পারি না,” বলেছেন মার্টিনো। বার্সার মিডফিল্ডার ইনিয়েস্তা বলেছেন, “এক ধাপ পিছিয়ে গেলাম। এমন একটা টিম যারা লিগে টিকে থাকতে লড়ছে, তাদের একটা মুভই আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেল।”

গোল করে উচ্ছ্বাস বেলের। ছবি: রয়টার্স।

লিগ টেবলে বার্সেলোনা পিছিয়ে গেল তৃতীয় স্থানে। ৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট তাদের। একই দিনে রিয়াল মাদ্রিদ ৪-০ আলমেরিয়াকে হারানোয় ৩৩ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে আটলেটিকো মাদ্রিদ। গেটাফেকে ২-০ হারিয়ে রবিবার রাতে আটলেটিকো মাদ্রিদ মেসিদের থেকে চার পয়েন্টে এগিয়ে গেল।

জেরার্দো ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও বার্সা সমর্থকরা একমত হতে পারছেন না। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ন্যু কাম্প বিমানবন্দরে টিম পৌঁছলে রবিবার ভোররাতেও বেশ কিছু বার্সা সমর্থকের বিক্ষোভেই সেটা পরিষ্কার। মেসিরা তখন বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছেন। সমর্থকদের তীব্র ভর্ৎসনার লক্ষ্য ছিলেন মূলত মেসি আর নেইমার। মাস দু’য়েক পরেই বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে খেলছেন মেসি, নেইমাররা এমনটাই অভিযোগ ক্লাব সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আটলেটিকো ম্যাচেও একই অভিযোগ উঠেছিল মেসির বিরুদ্ধে। আর্জেন্তিনা আর ব্রাজিলের দুই তারকা বাদে গোলকিপার হোসে পিন্টোও সমর্থকদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন। মাসচেরানো আর সহকারী কোচ ইয়র্দি রৌরা বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

“এক ধাপ পিছিয়ে গেলাম। এমন একটা টিম যারা লিগে টিকে থাকার জন্য লড়ছে,

তাদের একটা মুভই আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেল।” —ইনিয়েস্তা

ফিফার নিয়ম ভাঙায় এমনিতেই দু’মরসুম ট্রান্সফারের উপর নিষেধাজ্ঞার খাড়া ঝুলছে কাতালান ক্লাবের উপর। তার উপর পরপর হারে মেসিরা বিপর্যস্ত। দু’দিন পর এল ক্লাসিকোয় এই বার্সেলোনা হারাতে পারবে তো রিয়ালকে?

সমর্থকদের কাছে এখন বড় প্রশ্ন এটাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন