রিয়াল ম্যাচে হতাশ। নাদাল-ম্যাচে দর্শক (উপরে)। ছবি: রয়টার্স।
ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে থেকে আরও ফিকে হয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের!
রবিবার ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্র করায় বড় ধাক্কা খেয়েছিল কার্লো আন্সেলোত্তির দল। তার পর বুধবার রাতে রিয়াল ভালাদোলিদের সঙ্গে ফের ১-১ ড্র করে নিজেদের কাজটা অসম্ভব কঠিন করে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা। হাতে আর মাত্র দু’টো ম্যাচ পড়ে। পরিস্থিতি যা, তাতে এ বারের মতো লিগ জেতা রিয়ালের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যদিও অঙ্কের একটা দারুণ জটিল হিসাবে এখনও টিমটিম করছে ক্ষীণ আশা।
ভালাদোলিদ ম্যাচের শুরুতেই আবার রিয়াল সমর্থকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গ্যারেথ বেল তো চোটের কারণে দলেই ছিলেন না। তার উপর শুরুতেই রোনাল্ডো বেরিয়ে যান। তবু সের্জিও র্যামোসের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের সৌজন্যে রিয়ালই প্রথম এগিয়ে গিয়েছিল ১-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ার মাসুল রিয়ালকে দিতে হয় ৮৫ মিনিটে। যখন ভালাদোলিদের হুমবার্টো ওসোরিও গোল শোধ করায় ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যায়। ম্যাচের পর র্যামোস মেনে নেন, “কার্যত লা লিগার লড়াইয়ে আমরা আর নেই।” তবে একই সঙ্গে জানান, “যদিও অঙ্কের বিচারে এখনও একটু হলেও আশা টিকে রয়েছে। তাই শেষ অবধি চেষ্টা করতে চাই।” ম্যাচ ড্র করার সমস্ত দোষ ফুটবলারদেরই জানিয়ে র্যামোস যোগ করেন, “শেষ দশ মিনিট আমরা হাল্কা ভাবে নিয়ে ফেলেছিলাম। আমাদের বোঝা উচিত ছিল, প্রতিপক্ষ যখন অবনমন বাঁচানোর লড়াই করছে তখন তারা ম্যাচের শেষের দিকে মরিয়া হয়ে উঠে পরিস্থিতি কঠিন করবে।”
ম্যাচ ড্র করার থেকেও অবশ্য আশঙ্কা বেশি ছিল রোনাল্ডোর চোট নিয়ে। বায়ার্নের সঙ্গে প্রথম পর্বে যে চোট সারিয়ে দলে ফিরেছিলেন সিআর সেভেন, আবার সেই একই চোট পাওয়ায় প্রশ্ন উঠল- “তবে কি রোনাল্ডো পুরোপুরি সুস্থ নন?” যদিও রিয়াল সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে আন্সেলোত্তি বলেন, “রোনাল্ডোর চোটটা অতটা গুরুতর নয়। ম্যাচের পরে ওর কোনও ব্যাথা হচ্ছিল না। মনে হয় পেশীতে সামান্য টান লেগেছে। খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।”
রোনাল্ডোর মতো পেপে ও অ্যাঞ্জেল দি মারিয়াও চোট কবলিত হয়ে পড়তে পারেন বলে একটা আশঙ্কা দাঁনা বাঁধছে। ম্যাচের পরেই কাফ মাসলে ব্যথা অনুভব করেন পেপে। দি মারিয়া আবার কুচকিতে চোট পান। আন্সেলোত্তি বিষয়টাকে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে স্বয়ং দি মারিয়া নাকি বলেছেন, তাঁর পেশী সম্ভবত ছিড়ে গিয়েছে। এমনকী আসন্ন ব্রাজিল বিশ্বকাপেও নাকি তাঁর খেলা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে প্রশ্নচিহ্ন। যদিও শুক্রবার মেডিক্যাল পরীক্ষার পরেই দি মারিয়ার চোট কতটা গুরুতর, সেই রহস্য ফাঁস হবে।