বদলে দিলাম ইতিহাস

শিখর দশে দশ, রাহানে গেমচেঞ্জার

পঞ্চ-ফ্যাক্টর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা-বধের পিছনে। নম্বর দিলেন অশোক মলহোত্রপঞ্চ-ফ্যাক্টর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা-বধের পিছনে। নম্বর দিলেন অশোক মলহোত্র

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩১
Share:

মোহিত: ২-৩১।

• ওপেনিংয়ে ধবনের শিখরে থাকা

Advertisement

মনে হচ্ছে অফস্টাম্পের বাইরে শিখরের অনিশ্চয়তার সরণি উধাও। যেটা ওকে অস্ট্রেলিয়ায় ভোগাচ্ছিল। ওর বরাবরের আক্রমণাত্মক ভঙ্গিই ওকে ফর্মে ফিরিয়েছে। মাথা স্থির থাকছে, বলের একেবারে কাছে গিয়ে শট নিচ্ছে। বিপক্ষের পেস অ্যাটাক, ফিল্ডিং পজিশন, উইকেটের বাউন্স আরও ভাল করে বুঝে নিয়ে শট খেলছে। আজ ওর কাট, স্কোয়ার ড্রাইভগুলোয় যা আরও স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে রান পাওয়াটা শিখরের আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে দিয়েছিল। ১০/১০

Advertisement

• মিডল ওভার্সে রাহানে-ম্যাজিক

শিখরের অনবদ্য সেঞ্চুরি মাথায় রেখেও বলছি, অজিঙ্ক রাহানে ওই ব্যাটিংটা না করলে ভারতীয় বোলাররা এতটা খোলা মনে বল করতে পারত না। রাহানের ইনিংসের বড় তাৎপর্য, রোগা শরীরেও অসাধারণ বিগ শট খেলার ক্ষমতা। সেগুলোও ক্লিন শট। ওয়ান ডে শটগুলোও মারে কপিবুক ব্যাটিং ম্যানুয়াল মেনে। এটা ও মুম্বইকর বলেই বোধহয় সম্ভব। ওখানকার ব্যাটিং শিক্ষাটাই বাকি দেশের থেকে আলাদা! শিখর সেঞ্চুরির আগে যখন খানিকটা স্লো ব্যাট করছিল, তখন রাহানেই ভাল রানরেটের মোমেন্টাম ধরে রেখেছিল। আরও মারমুখী ব্যাটিং করে। এই ম্যাচের গেমচেঞ্জার! ৯/১০

• ক্যাপ্টেন্সি, ফিল্ড প্লেসিং, ফিল্ডিং

এই ফর্ম্যাটে ধোনির অধিনায়কত্ব বরাবরই ‘স্পট অন’! ওয়ান ডে-তে কখন কোন বোলারকে আনতে হবে, কী ফিল্ডিং তাকে দিতে হবে, কার কী আদর্শ ব্যাটিং অর্ডার এ সব ধোনির কণ্ঠস্থ। রাহানে পাকিস্তান ম্যাচে আট নম্বরে নেমেছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং অনেক ভাল বলে এ দিন ওকে পাঠাল চারে। সিদ্ধান্তটা কী দারুণ হিট! একটা সময় বেশ কিছু ওভার অন সাইডে তিন প্লাস তিন, মানে রিংয়ের ভেতর তিন জন আর তাদের কভারে আউটফিল্ডে তিন জন, ছ’জনের একটা অর্ধবৃত্ত ফিল্ড প্লেসিং সাজিয়ে তুখোড় দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের মিডল-লেগ লাইনে বল করে বেঁধে রেখেছিল ধোনি। সাবাশ এমএসডি! ফিল্ড প্লেসিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও দুর্দান্ত হল। কী সার্কেলে, কী সার্কেলের বাইরে। ওদের দু’টো আসল ব্যাট তো ফিল্ডিংয়েরই শিকার। এবি আর মিলার। ৮.৫/১০

• স্পিনার জুটির কামড়

অশ্বিন-জাডেজার চমৎকার স্পিন জুটি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পেসাররা শুরুতে টাইট বোলিং করে চাপটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। স্পিনাররা বল করার সময় ডে’ভিলিয়ার্স উইকেটে ছিল ঠিকই, কিন্তু চাপটা তখন অনেক বেশি। পরের দিকে মিলারও সেটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে সব মিলিয়ে আমাদের স্পিনারদের, বিশেষ করে জাডেজার বলে বৈচিত্র ছিল ভাল। ৭/১০

• নতুন বলের ঝড়

বিশ্বকাপ ম্যাচে তিনশোর উপর রান নিয়ে পেসার যখন রান-আপ শুরু করে তখন তার দারুণ ভাল বল করার মোটিভেশন আপনাই চলে আসে। শামি-মোহিতদের মনে হয় সেটাই হয়েছিল। অনেক খোলা মনে আক্রমণ করেছে। আমলা-ডি’কক-এবিদের আমাদের পেসাররা খুব ভাল লাইনে বল করেছে। মারার জায়গা দেয়নি। মনে হয় দলের ভিডিও অ্যানালিস্টের কাজের ভালই ব্যবহার করেছে ওরা। শামি আজ প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৫ দিল। মোহিত দু’টো উইকেট তুলল। ম্যাচটা ওখানেই অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। ৮/১০

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন