সাত বছর পর শেষ চারে ভারত

শিখরকে নিয়ে এ বার অন্তত বসুক ফ্লেচার

বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে পড়লেও দুটো জায়গা নিয়ে ভারতকে এখনও চিন্তা ভাবনা করতে হবে। প্রথমটা, ডেথ বোলিং ও দ্বিতীয়টা ওপেনিং পার্টনারশিপ। বিশেষ করে শিখর ধবনের ফর্ম। মাঝে আরও একটা ম্যাচ পাচ্ছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।

Advertisement

দীপ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৪ ০৫:১৮
Share:

ধোনিময় মিরপুর।

বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে পড়লেও দুটো জায়গা নিয়ে ভারতকে এখনও চিন্তা ভাবনা করতে হবে। প্রথমটা, ডেথ বোলিং ও দ্বিতীয়টা ওপেনিং পার্টনারশিপ। বিশেষ করে শিখর ধবনের ফর্ম। মাঝে আরও একটা ম্যাচ পাচ্ছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। রবিবারের এই ম্যাচটা সেমিফাইনালের আগে ভাল একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হয়ে যাবে। তবে সংশোধনের কাজটা এখন থেকেই শুরু করে দেওয়া উচিত ধোনিদের।

Advertisement

শেষ চারে শ্রীলঙ্কা সামনে না পড়লেই ভাল। এই ধরণের উইকেটে ওদের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিদ্বন্দ্বী আর কে হতে পারে? ওদের গ্রুপে শেষ পর্যন্ত কে কোন জায়গায় থাকবে, তা যদিও বলা কঠিন। তবে তাই বলে পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোনও মতেই মাথা নোয়ানো যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য মোটেই ভাল যাচ্ছে না এই টুর্নামেন্টটা। তবে শেষ ম্যাচে ওরা একটা মরণকামড় দিতে চাইবেই। ভারতকে সে কথা মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে রবিবার। আর সামনে যখন অস্ট্রেলিয়া, তারা যে ফর্মেই থাকুক না কেন, তাদের সমীহ করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা পুরো ছন্দে থাকার ব্যাপার। কে কেমন রিদমে থাকল, সেটাই আসল। তাই লিগের শেষ ম্যাচটাতে ভারতের জেতা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবা উচিত নয়।

শুক্রবার বাংলাদেশকে ভারত যে ভাবে হারাল, তাকে অনায়াস জয় বলা যেতে পারে। এই উইকেটে ১৩৯-এর টার্গেটটা ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের কাছে যে কিছুই না, বোঝা গেল। রোহিত শর্মা (৫৬) ফর্মে ফিরলেও শিখর ধবন (১) কিছুতেই নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারছে না। এ সব ক্ষেত্রে কোচেরই ব্যাপারটা দেখা উচিত। জানি না শিখরকে নিয়ে ডানকান ফ্লেচার কী ভাবছে বা আদৌ কিছু করছে কি না। তবে তেমন কার্যকরী কিছু পদক্ষেপ নিলে নিশ্চয়ই সেই ফলটা পাওয়া যেত। কিন্তু শিখরের ব্যাটিংয়ে সেটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাটিং অর্ডারে উঠে এসে (চার নম্বরে) এ দিন একটা ভাল কাজ করল ধোনি (২২)। আগের দুটো ম্যাচে ওকে নামতেই হয়নি। এ দিন তাই ব্যাট করতে নামাটা ওর পক্ষে খুব দরকারি ছিল। কারণ, নেটে ব্যাট করা আর ম্যাচে করার মধ্যে তফাত রয়েছে। ছোট হলেও এ দিনের ইনিংসে ধোনির আত্মবিশ্বাসকে ঠিক জায়গায় রেখে দিল।

Advertisement

ডেথ বোলিংয়ের সমস্যাটা অবশ্য মেটানো কঠিন। কারণ, ডেথ বোলিং বিশেষজ্ঞ বলতে যা বোঝায়, তেমন কেউ ভারতীয় দলে নেই। আর এই ধরনের ব্যাটসম্যান সহায়ক উইকেটে গুড লেংথ স্পটটা এত কম জায়গা জুড়ে থাকে যে, এমন উইকেটে পেসারদের বল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে ধারাবাহিক ভাবে গুড লেংথ স্পটে বল ফেলতে হবে কিন্তু ভারতীয় পেসাররা সেটা পারছে বলে মনে হচ্ছে না। এ দিন যেমন শেষ চার ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা চল্লিশ রান তুলল। তিন স্পিনারে খেলাটা এই টুর্নামেন্টে ভারতের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। আবার দুই স্পিনার ভাল ব্যাটও করতে পারে বলে ব্যাটিংয়ের লেজটাও লম্বা হয়ে যাচ্ছে, এটা আরও ভাল ব্যাপার।

অজিঙ্ক রাহানেকে পরখ করা না হলেও আর বোধহয় প্রথম এগারো নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভাল। এই দলটাই যখন সেট হয়ে গিয়েছে, তখন আর অন্য কম্বিনেশনে মাঠে না ভাবাই ভাল। জানি না রবিবার ধোনি কাউকে বিশ্রাম দিয়ে কাউকে দেখে নিতে চাইবে কি না। কিন্তু দেখতে হবে সেটা করতে গিয়ে যেন রিদমটা নষ্ট না হয়।

বাংলাদেশ

তামিম ক রায়না বো অশ্বিন ৬
এনামূল বো মিশ্র ৪৪
শামসুর ক রোহিত বো অশ্বিন ০
সাকিব বো ভুবনেশ্বর ১
মুশফিকুর ক কোহলি বো শামি ২৪
নাসির স্টাম্প ধোনি বো মিশ্র ১৬
মাহমুদুল্লাহ ন.আ ৩৩, জিয়াউর ক জাডেজা বো মিশ্র ০
মাশরফি ন.আ ৬
অতিরিক্ত ৮
মোট ২০ ওভারে ১৩৮-৭
পতন: ২০, ২০, ২১, ৬৭, ৮২, ১৩১, ১৩১।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ৩-০-২১-১, অশ্বিন ৪-০-১৫-২, শামি ৩-০-২৯-১, জাডেজা ৪-০-৩০-০, রায়না ২-০-১১-০, মিশ্র ৪-০-২৬-৩।

ভারত

রোহিত ক নাসির বো মাশরফি ৫৬
ধবন বো আল আমিন হোসেন ১
কোহলি ন.আ ৫৭
ধোনি ন.আ ২২
অতিরিক্ত ৫
মোট ১৮.৩ ওভারে ১৪১-২
পতন: ১৩, ১১৩।
বোলিং: মাশরফি ৪-০-২৩-১, সোহাগ ৩-০-২১-০, আল আমিন হোসেন ৪-০-৩৮-১, সাকিব ৪-০-২৬-০, জিয়াউর ২.৩-০-২৬-০, মাহমুদুল্লাহ ১-০-৭-০।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement