দেড়শোতম ডার্বিতে পৌঁছে এ যেন উলটপুরাণ!
যে ম্যাচের উত্তেজনা-উন্মাদনার সঙ্গে জড়িয়ে গোটা বাঙালি জাতির অসংখ্য আবেগ, স্মৃতি, সেই কলকাতা ডার্বির আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের কোচ-ফুটবলাররা একসঙ্গে ‘শান্তির কেক’ কাটছেন, একে অন্যের মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন, এ দৃশ্য যেন কল্পনাতীত!
কিন্তু সেটাই ঘটল শুক্রবার বিকেলে আইএফএ-র উদ্যোগে এবং বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। ইস্ট-মোহন মানেই ঝামেলা, রক্তাক্ত দর্শককে নিয়ে হাসপাতালে ছুটোছুটি, কখনও বা মৃত্যুও! এবং সেই সব এড়াতেই এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্য ফুটবল সংস্থার অফিসে পাশাপাশি বসে শান্তির বার্তা দিলেন দুই প্রধানের দুই কোচ আর্মান্দো কোলাসো এবং শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ছিলেন দু’দলের দুই অধিনায়ক শিল্টন পাল এবং হরমনজ্যোৎ খাবরা-ও। রবিবার যুবভারতীতে ম্যাচের নব্বই মিনিটে যাই হোক, এ দিন অন্তত তাঁরা একসঙ্গে বঙ্গ ফুটবলমহলকে অনুরোধ করলেন, “মাঠে শান্তি বজায় রাখুন।”
আইএফএ-র যা হিসেব তাতে প্রায় এক লাখ লোক এই মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি দেখতে আসবেন রবিবার। যাঁদের সামলাতে দেড় হাজারেরও বেশি পুলিশ থাকবে। বিধানগরের এসডিপিও রণেন বন্দ্যোপাধ্যায়-ও এ দিন উপস্থিত ছিলেন ‘কেক কাটা’-র অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি বলেন, “আমরা দু’দলের সব ফুটবলারকে অনুরোধ করেছি, শুধু টিমবাসেই মাঠে আসতে এবং ম্যাচ শেষে ফিরে যেতে। যাতে তাঁদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারি। বিশেষ কার্ডেরও ব্যবস্থা থাকছে।” বিশ্বকাপের মতো নজর রাখতে মাঠের ভিতরের পুলিশ গ্যালারির দিকে মুখ করে থাকবে। তাদের একটি বিশেষ জ্যাকেটও দেওয়া হচ্ছে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “টিকিট পরীক্ষার দায়িত্ব পুলিশের উপর থাকবে। আইএফএ-র কেউ এতে হস্তক্ষেপ করবে না।