প্রথম সিঙ্গলস জিতে কোরিয়ার চুং-এর সঙ্গে সোমদেব। ছবি: এএফপি।
১-১। প্রথম দিনের শেষে ভারত-কোরিয়া ডেভিস কাপ টাইয়ের এটাই স্কোরলাইন। দু’দেশের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিং (৮৮) সোমদেব দেববর্মন প্রথম সিঙ্গলস জিতে ভারতকে এগিয়ে দিলেও পরের সিঙ্গলসে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজের স্ট্র্যাটেজি খাটল না। বিপক্ষকে চমকে দিতে অপ্রত্যাশিত ভাবে টিমের সবচেয়ে পিছনে র্যাঙ্কিং থাকা সনম সিংহকে খেলালেও চণ্ডীগড়ের সাড়ে পাঁচ ফুটি যুবক স্ট্রেট সেটে হেরে গেলেন কোরিয়ার এক নম্বর প্লেয়ার লিমের কাছে।
সোমদেবের জয় ৭-৬ (৭-৪), ৭-৬ (৭-৩), ৬-৪-এ। সনমের হার ৬-৭ (৫-৭), ৪-৬, ৪-৬-এ।
সোমদেব যাঁকে হারালেন সেই সতেরো বছরের টিনএজার চুং র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে ২৮৯ ধাপ পিছনে থাকলেও গতবারের জুনিয়র উইম্বলডন ফাইনালিস্ট। এবং আবার প্রমাণ হল ডেভিস কাপে বিশ্ব র্যাঙ্কিং ধর্তব্যের নয়। এখানে লড়াইটা যত বেশি ব্যক্তিগত, তার চেয়ে ঢের বেশি দলগত। দেশ বনাম দেশে। আর সেই লড়াইয়ে জীবনের প্রথম ডেভিস কাপ খেলতে নামা প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হারাতে সোমদেবকে অভিজ্ঞতার সমুদ্রের একেবারে তলায় ডুব দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র বার করতে হল। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। প্রথম দু’টো সেটেই চুং ৪-১ আর ৫-২ এগিয়ে ছিলেন। আর একটু অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো দু’টো সেটই জিততেন। শেষমেশ দু’টো টাইব্রেকারই সোমদেব বার করে নেন পেশাদার ট্যুরে অনেক দিনের রগড়ানি থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার জোরে।
সনমকে আবার বিগ পয়েন্টগুলোয় অনভিজ্ঞ দেখিয়েছে লিমের সামনে। তাঁর ছোটখাটো শরীর ব্যাক কোর্ট থেকে ভলি মারার ক্ষেত্রে বরাবর অন্তরায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, দীর্ঘকায় সাকেত মিনেনির বিগ সার্ভ উপেক্ষা করে সনমকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ‘রাবার’-এ খেলানো আনন্দ অমৃতরাজের ঠিক সিদ্ধান্ত কি না। রবিবার টাই ২-২ থাকলে মরণবাঁচন শেষ ‘রাবার’-এ কিন্তু সনমকেই নামতে হবে। তার আগে অবশ্য ২-১ এগিয়ে যেতে শনিবার ভারত তাকিয়ে অভিজ্ঞ রোহন বোপান্নার দিকে। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ডাবলসে বিশ্বের ১৪ নম্বর ডাবলস তারকার সঙ্গী কিনা সিঙ্গলসে উপেক্ষিত মিনেনি-ই!