সনি নর্ডি। ফেড কাপে বাগানের আশার জায়গা।
ভুটানটা ছিল বিদেশের মাঠ। কিন্তু ভারতের মাটিতে মোহনবাগান জার্সিতে নিজের প্রথম টুর্নামেন্টেই সাফল্য পেতে মুখিয়ে রয়েছেন সনি নর্ডি।
ওপার বাংলা থেকে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলতে আসা সনি ভুটানে কিংস কাপে ব্যর্থতার পর ফেড কাপে রওনা হওয়ার আগে বলছেন, “এই ক্লাবের হয়ে তো এ দেশে ফেড কাপই আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। আমার ক্লাব যে বেশ কয়েক বছর ট্রফি পায়নি জানি। তাই এই মুহূর্তে ফেড কাপ জেতা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না।”
হাইতির ফরোয়ার্ড গোয়ায় বাগান ফুটবলারদের সমঝোতা যাতে ঠিকঠাক গড়ে ওঠে তার জন্য ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন সতীর্থদের সঙ্গে। আইএসএলে কিংশুক, বলবন্তদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেও উত্ফুল্ল তাঁদের এই বাগান সতীর্থ।
এ দিন সকালে অনুশীলনের পর ফুটবলারদের সামনেই ফেড কাপের দল ঘোষণা করেন কোচ সঞ্জয় সেন। ২০ জনের দলে দুই গোলকিপার ছাড়া রক্ষণ, মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ডে ছয় জন করে ফুটবলার রেখেছেন বাগানের নতুন কোচ। চোটের জন্য আগেই ছিটকে যান লেফট ব্যাক ধনচন্দ্র সিংহ। এ দিন একই কারণে দলে জায়গা হয়নি মণীশ ভার্গবের। মাঝমাঠে তীর্থঙ্কর না শেহনাজ কাকে নিয়ে যাবেন তা নিয়ে রবিবার পর্যন্তও দোলাচলে ছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেহনাজেই আস্থা রাখেন। সূত্রের খবর, ভুটানে একটি ম্যাচে স্টপারে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স ছিল শেহনাজের। আর এক স্টপার প্রতীক গোড়ালিতে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় শেহনাজের সেই পারফরম্যান্সে ভরসা রাখছেন কোচ।
শনিবার সকালেই গোয়া যাচ্ছে মোহনবাগান। এ দিন অনুশীলনের পর সঞ্জয় বলছিলেন, “ফুটবলাররা ভাল কিছু করতে মরিয়া। ওদের বডি ল্যাঙ্গোয়েজেও তা স্পষ্ট। ফেড কাপ যে মোহনবাগানের পয়া টুর্নামেন্ট তা ওদের মনে করিয়ে দেব।” আশাবাদী বাগান কোচ আরও যোগ করলেন, “সনি, কাতসুমি, বোয়ার মতো বিদেশিরা তো আছেই। আমার দলে ভারতের সেরা দুই ফরোয়ার্ড জেজে এবং বলবন্তও রয়েছে। যা মনে হয় এই দলের পজিটিভ ফ্যাক্টর।”
যদিও তাঁর ক্লাব চার বছর ট্রফিহীন থাকায় চাপ যে রয়েছেই তা গোপন করেননি সবুজ-মেরুন কোচ। “বড় ক্লাবে সমর্থকদের প্রত্যাশার একটা চাপ থাকেই। তবে এ বারের ফেড কাপে যে-হেতু প্রত্যেক গ্রুপ থেকে দু’টো দল নক আউটে যাবে, তাই প্রথম ম্যাচে অঘটন ঘটলেও ফিরে আসার একটা সুযোগ থাকছে।”