সবার সেরা মেসি, বলছেন নেইমার

তাঁকে দেখে অনেকেই ভুলে যান মাত্র ২২ বছর বয়স। যাঁর কাঁধে কিনা ৭১ মিলিয়ন পাউন্ডের ‘প্রাইস ট্যাগ’। বছর দুই আগেই পেলে বলেছিলেন মেসির থেকেও এগিয়ে তিনি। কিন্তু তিনি নিজে যদিও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, গ্যারেথ বেল আর নিজের থেকে এগিয়ে রাখছেন বার্সার মহাতারকাকেই। তিনিনেইমার। লা লিগায় চার মহারথী রোনাল্ডো, বেল, মেসি ও তাঁর পারফরম্যান্স যতই দাঁড়িপাল্লায় তোলা হোক, তিনি কিন্তু নিজের থেকে অন্য তিন মহাতারকাকে নিয়ে আলোচনা করতেই বেশি ব্যস্ত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৫
Share:

তাঁকে দেখে অনেকেই ভুলে যান মাত্র ২২ বছর বয়স। যাঁর কাঁধে কিনা ৭১ মিলিয়ন পাউন্ডের ‘প্রাইস ট্যাগ’। বছর দুই আগেই পেলে বলেছিলেন মেসির থেকেও এগিয়ে তিনি। কিন্তু তিনি নিজে যদিও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, গ্যারেথ বেল আর নিজের থেকে এগিয়ে রাখছেন বার্সার মহাতারকাকেই। তিনিনেইমার।

Advertisement

লা লিগায় চার মহারথী রোনাল্ডো, বেল, মেসি ও তাঁর পারফরম্যান্স যতই দাঁড়িপাল্লায় তোলা হোক, তিনি কিন্তু নিজের থেকে অন্য তিন মহাতারকাকে নিয়ে আলোচনা করতেই বেশি ব্যস্ত। একটি সংস্থার শ্যুটিংয়ের পর ‘ব্রাজিলের বোমা’ বলেন, “বেলকে খুব ভাল করে চিনি। দারুণ প্লেয়ার। বিশ্বের অন্যতম সেরা। অনেক দূর এগোনোর ক্ষমতা রয়েছে। এ মরসুমেও খুব ভাল খেলছে।” আর রোনাল্ডো? “এটাও মানি যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বিশ্বের অন্যতম সেরা প্লেয়ার। তবে আমি তো মেসির সঙ্গে প্র্যাকটিস করি তাই জানি ও কী ভাবে খেলে। আমার কাছে সবার থেকে সেরা মেসিই,” বলে দেন নেইমার।

ব্রাজিলের সুপারস্টার হিসেবে স্পটলাইটে তিনি অনেক আগে থেকেই। জানেন কী ভাবে প্রচারের আলো সামলাতে হয়। কিন্তু কাতালান ক্লাবের হয়ে প্রথম মরসুমেই এতগুলো ব্যর্থতার ধাক্কা কী ভাবে সামলাচ্ছেন? কোপা দেল রে-তে হার তো আছেই, চলতি মরসুমে ঘরোয়া লিগের পয়েন্ট তালিকায় নেমে যাওয়া, তাঁর চুক্তি নিয়ে বিতর্কে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ইস্তফা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হার বা চোট-আঘাতের সমস্যাতেও বার্সা কম ভোগেনি। নেইমার বলে দেন, “খারাপ মুহূর্ত এসেছে সেটা ঠিক। কোপা দেল রে হারতে চাইনি। কিন্তু প্রতিদিনই তো আমরা কিছু শিখি, তাই না? দুঃখ পেলেও মাথা তুলে হাসিটা ধরে রাখতে হয়। এটাই জীবন।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “এই মরসুমে আমি অনেক কিছু শিখেছি। একটা অন্য দেশে গিয়ে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া তো ছিলই। তার সঙ্গে আবার আমার চোটের সমস্যাও ছিল। তাই বলছি এই মরসুমে শুধু ব্যক্তিগত ভাবেই নয়, পেশাদারি দিক থেকেও শুধু শেখার। আশা করছি পরের মরসুম আরও উজ্জ্বল আর আনন্দের হবে।”

Advertisement

এই আশার জোরেই লা লিগার খেতাব জিততে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়তে চান সাও পাওলোর ‘ওয়ান্ডার কিড’। “আশা করি আমার সতীর্থরা বাকি ম্যাচে জিতবে। আটলেটিকোর বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে চোট সারিয়ে হয়তো আমিও নামতে পারব টিমকে সাহায্য করার জন্য।”

প্রসঙ্গ ওঠে বিশ্বকাপেরও। সংগঠক ব্রাজিলের চ্যালেঞ্জ যেখানে কম নয়। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকারের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের মানুষের বিক্ষোভ সামাল দেওয়া। যার আঁচ পাওয়া গিয়েছে কনফেডারেশন কাপে। নেইমার কিন্তু বলে দেন, “গত সপ্তাহে ব্রাজিলে যখন ছুটি কাটাতে গেলাম, সেখানে কোনও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল কি না জানি না। কনফেড কাপে প্রচুর বিক্ষোভ হয়েছে সবাই জানেন। কিন্তু আমি যত দূর শুনেছি, সে সব শান্তিপূর্ণই ছিল। আমার মনে হয়, আরও ভাল জীবনযাত্রার জন্য ব্রাজিলের মানুষের লড়াই করাটা জরুরি। তবে যতক্ষণ শান্তিপূর্ণ থাকবে, আমি সেই বিক্ষোভকে সমর্থন করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement