তখন একসঙ্গে।
এই মুহূর্তে আগুনে ফর্মে তিনি। যে ভাবে খেলছেন, তাতে পিঠোপিঠি দু’টি মেজর টুর্নামেন্ট জেতার বিরল নজির না গড়াটাই আশ্চর্যের হবে, বলছে গল্ফ বিশ্ব। পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই রাউন্ডের শেষে এক শটের লিড-সহ খেতাবের উপর স্বত্ব কায়েম করায় এগিয়ে থাকা রোরি ম্যাকিলরয় অবশ্য বলছেন, এ সবই নাকি টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সুফল!
লুইসভিলের ভালহাল্লা গল্ফ ক্লাবে প্রথম দুই রাউন্ডের পর নয়-আন্ডার ১৩৩ স্কোরে বিশ্বের এক নম্বর। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে টাইগার উডসের (ছয়-ওভার ১৪৮) মতো মহাতারকা, ভারতীয় এক নম্বর অনির্বাণ লাহিড়ীরা (তিন-ওভার ১৪৫) কাট না পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার দিনে ম্যাকিলরয় জল-কাদা ভেঙেও একটি ঈগল এবং চার বার্ডি-সহ ৬৭ স্কোর করেন। আর বলেন, “ক্যারোলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাই আমাকে আরও ভাল গল্ফার করে তুলেছে।”
মন্তব্যের ব্যাখ্যায় আইরিশ তারকা যোগ করেন, “মানসিক ভাবে আমি এখন অনেক ভাল জায়গায়। তা ছাড়া, সম্পর্ক ভাঙার পর এই মুহূর্তে আমার জীবনে গল্ফ ছাড়া আর কিছু নেই। সারাদিনই গল্ফ নিয়ে পড়ে থাকি। কোর্সে সময় কাটাই বা জিমে। আগেও খাটতাম। তবে গত দু’মাসে নিজেকে একেবারে গল্ফে ডুবিয়ে দিয়েছি।”
গত মে ম্যাসে সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ের কার্ড বিলির পর আচমকা ওজনিয়াকির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন ম্যাকিলরয়। যার ক’দিনের মধ্যে ওয়েন্টওয়ার্থ-এ জেতেন বিএমডব্লিউ চ্যাম্পিয়নশিপ। তার পর জুলাইয়ে ব্রিটিশ ওপেন জিতে ফিরে পান বিশ্বের এক নম্বরের আসন। আর পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দু’রাউন্ডে যে অসাধারণ ফর্মে খেলেছেন, তাতে কোনও অঘটন না হলে ট্রফিটা তাঁর হাতেই দেখছে গল্ফ বিশ্ব। ২০০৮-এ প্যাডরেইগ হ্যারিংটন পর পর দু’টি মেজর জিতেছিলেন। এখানে জিতলে সেই নজির স্পর্শ করবেন ম্যাকিলরয়। তবে ম্যাকিলরয় নিজে বলছেন, “জিতব, এমন দাবি করছি না। তবে যে কাজগুলো আমার নিয়ন্ত্রণে আছে, সেগুলো ঠিকঠাক করাটা আমার হাতে আছে। আর এটুকু জানি, সেই কাজগুলো ঠিক ভাবে করলে আমার খেতাব জেতার খুব ভাল সুযোগ থাকবে।”