নির্বাচক প্রধান মইন খানের পর এ বার খোদ কোচ ওয়াকার ইউনিস। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিতর্ক ‘সিরিজে’ বিরাম নেই। জালে জড়াচ্ছেন একের পর এক পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় মাথারা। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর দিনই যে বিতর্কের শুরু, তড়িঘড়ি সেটা মেটাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাঠে নামতে হল পাক কোচকে।
উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদকে কেন বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে খেলানো হয়নি? যিনি প্রথম ম্যাচে নেমেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে ৪৯ রান তো বটেই, ছ’টা ক্যাচও নেন। পান ম্যাচের সেরার পুরস্কারও। সরফরাজের জায়গায় চার ম্যাচে ওপেনার নাসির জামশেদকে খেলানোর যুক্তি কী? এতে কি পাকিস্তানেরই ক্ষতি হল না? একের পর এক প্রশ্ন উঠেছিল ওয়াকারের বিরুদ্ধে। জবাবে সংবাদসংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে পাক কোচ বলছেন, “আমি খুব দেশপ্রেমিক। আমি কখনও এমন কিছু করব না যাতে আমার টিম বা দেশের ক্ষতি হয়। আমরা টিমের জন্য আমি সব সময় আছি। আমরা চেষ্টা করছি এমন কিছু করতে যাতে আমাদের নিয়ে গর্ব হয়।”
তা হলে সরফরাজকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে এত প্রশ্ন উঠছে কেন? “জানি সরফরাজের ব্যাপারটা নিয়ে হইচই হচ্ছে। কেন ওকে আগে খেলানো হল না? এগুলো বাইরে থেকে বলা খুব সোজা। কিন্তু আমাদেরও তো হাতে সমস্যা রয়েছে। কখনও সমস্যার সহজেই সমাধান হয়ে যায়। কখনও প্রচণ্ড কঠিন হয়ে পড়ে,” বলেন ওয়াকার। কিন্তু সরফরাজকে নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলে কেন ওয়াকার শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন? পাক কোচ বলেন, “সরফরাজ যে দলের সম্পদ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ওকে আমরা বিশ্বকাপের আগেও ওপেনার হিসেবে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। আর তা ছাড়া, ও তো জেনুইন ওপেনারও নয়।”
ব্যর্থ তো নাসিরও। তার পরও তাঁকে এত সুযোগ দেওয়া কেন হল? ওয়াকার এ বার বলছেন, “নাসির বিশেষজ্ঞ ওপেনার বলেই সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ও ভাল খেলতে না পারায় আমাদের সরফরাজকে সুযোগ দিতে হয়েছে। ও চ্যালেঞ্জ ভালবাসে। ওর সঙ্গে আমার কথাও হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য ও তৈরি ছিল।” কিন্তু ওয়াকার যতই সাফাই দিন, দেশে তাঁর সমালোচনা কিন্তু বেড়েই চলেছে। পাক কোচ অবশ্য সে সব নিয়ে মাথা ঘামান না। “এ তো নতুন নয়। সমালোচনার ব্যাপারটা আমাদের জানা। এই সময়টা দেশের জন্য খুব আবেগের। আর সব সিদ্ধান্তে সবাইকে খুশি করা যায় না।”