—প্রতীকী ছবি।
কম্পিউটার-ল্যাপটপকে সুরক্ষিত রাখতে অ্যান্টি ভাইরাস কতটা কার্যকর? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পুরু বর্মে গ্যাজেটের অপারেটিং সিস্টেমকে ঢেকে রাখতে পারে না অ্যান্টি ভাইরাস। কারণ, এখনকার দিনে কৃত্রিম মেধা বা এআই-ভিত্তিক (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে আমজনতার ল্যাপটপ-কম্পিউটার। সেই সমস্ত ম্যালঅয়্যার আটকানোর কোনও ক্ষমতাই নেই অ্যান্টি ভাইরাসের।
এখনকার দিনে কম্পিউটার-ল্যাপটপ কেনার সঙ্গে সঙ্গেই উইন্ডোজ় ডিফেন্ডার এবং ফায়ারওয়ালের মতো অপারেটিং সিস্টেম-ভিত্তিক কিছু সুরক্ষা পেয়ে থাকেন গ্রাহক। এগুলি অ্যান্টি ভাইরাসের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করে দেয়। অধিকাংশ গ্যাজেট বিশেষজ্ঞই অবশ্য মনে করেন, ব্যবহারকারীদের ভুলে কম্পিউটার-ল্যাপটপে ঢোকে ভাইরাস। সাধারণত, অজানা ফাইলে ক্লিক করলে বা ক্র্যাক সফট্অয়্যার ইনস্টল করলে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রে ম্যালঅয়্যার ঢুকতে পারে। এ ছাড়া কোনও রহস্যজনক লিঙ্কে ক্লিক করলেও এই বিপদ ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ধরনের ক্ষেত্রে অ্যান্টি ভাইরাস যে খুব বেশি সুরক্ষা দিতে পারে এমনটা নয়। উল্টে এর জন্য গতি কমতে পারে কম্পিউটার-ল্যাপটপের। কারণ, অনেক অ্যান্টি ভাইরাস সিস্টেমকে স্লো করে দেয়। তবে এটা একেবারে কাজের নয়, সেটা ভাবলে ভুল হবে। বরং একে ওভাররেটেড বলা যেতে পারে।
যে সমস্ত গ্রাহক খুব বেশি ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেন বা নিয়মিত অজানা ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন, তাঁদের ল্যাপটপ-কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে অ্যান্টি ভাইরাসের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সাইবার ক্যাফে চালানোর ক্ষেত্রে অ্যান্টি ভাইরাস ভাল রকম দরকার। তবে বিপত্তি এড়াতে ব্যবহারকারীদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের কথায়, সকলের অবশ্যই ফিশিং লিঙ্ক চিনে নেওয়া উচিত। তা ছাড়া ডিজিটাল সুরক্ষার জন্য টু স্টেপ অথেন্টিকেশন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
কম্পিউটার-ল্যাপটপকে ভাল রাখতে হলে ক্র্যাক ফাইল ইনস্টল করা বন্ধ করতে হবে। ব্রাউজ়ারের প্রোটেকশন চালু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি, যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ব্যাকআপ রাখা দরকার। তা হলেই অ্যান্টি ভাইরাস ছাড়াই যে কোনও বিপত্তি এড়াতে পারবেন ব্যবহারকারী।