—প্রতীকী ছবি।
১০ হাজার, ২০ হাজার না কি ৩০ হাজার, কত এমএএইচের (মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার) পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে ওঠা যায় বিমানে? সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের কতগুলি নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন উড়ানযাত্রীরা? বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। যদিও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়ে রেখেছে ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’ বা ডিজিসিএ। সেই নিয়ম মেনে যাত্রীদের পাওয়ার ব্যাঙ্ক বহনের অধিকার দিয়ে থাকে যাবতীয় অসামরিক উড়ান সংস্থা। আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রণকারী ডিজিসিএ-র নিয়ম অনুযায়ী, উড়ানযাত্রীরা তাঁদের মালপত্র বা লাগেজে কোনও পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখতে পারবেন না। তবে, হ্যান্ডব্যাগে ওই ডিভাইস নিয়ে বিমানে ওঠার অনুমতি পেয়ে থাকেন তাঁরা। সেখানে ১০ হাজার এবং ২০ হাজার এমএএইচের পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, ৩০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ারের পাওয়ার ব্যাঙ্ক হ্যান্ডব্যাগে রাখতে হলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে তাঁদের।
এর চেয়ে বেশি শক্তি সম্পন্ন (পড়ুন ৪০ হাজার এমএএইচ) ওই ডিভাইস নিয়ে যাত্রীদের সাধারণত বিমানে ওঠার অনুমতি দেয় না কোনও উড়ান সংস্থা। কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ দু’টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বিমানে উঠতে পারেন। কিছু কিছু উড়ান সংস্থা সর্বোচ্চ তিনটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বিমানে ওঠার অনুমতি দিয়ে থাকে। তবে এ দেশে সেই সংখ্যাটা বেশ কম। উড়ানযাত্রার সময় পাওয়ার ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার কড়া নির্দেশ রয়েছে ডিজিসিএ-র।
পাওয়ার ব্যাঙ্কের শক্তি হিসাব করা হয় ওয়াট-আওয়ার দিয়ে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিজিসিএ সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াট-আওয়ারের পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বিমানে ওঠার অনুমতি দিয়ে থাকে। গ্যাজেট বিশ্লেষকদের দাবি, এটা আনুমানিক ২৭ হাজার এমএইচের হতে পারে। এই হিসাব মাথায় রেখে উড়ানযাত্রার প্যাকিং করলে কোনও সমস্যা হবে না সংশ্লিষ্ট যাত্রীর।