প্রতীকী ছবি।
অ্যাপ্ল হোক বা স্যামসাং-ভিভো। স্মার্টফোনের পিঠের প্যানেল প্রায় সমস্ত সংস্থাই তৈরি করছে গ্লাস বা কাচ দিয়ে। ফলে মুঠোবন্দি ডিভাইস এক বার হাত থেকে পড়ে গেলেই সর্বনাশ! চোখের নিমেষে ফেটে চৌচির হতে পারে সেই কাচ, যা সারাতে মোটা টাকা গচ্ছা দিতে হবে গ্রাহককে। আর তাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেরই প্রশ্ন, পিঠের অংশটা কি কাচ দিয়ে তৈরি না করলেই নয়?
ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলির অবশ্য ব্যাক প্যানেলে কাচ লাগানোর নেপথ্যে দ্বিমুখী যুক্তি দিয়ে থাকে। প্রথমত, এতে আরও ‘স্মার্ট লুক’ পায় ফোন। দ্বিতীয়ত, গ্লাস বা কাচের ব্যাক প্যানেলের জন্যেই ওয়্যারলেস (তারবিহীন) চার্জিংয়ের সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক। সেই কারণেই ঝুঁকি জেনেও স্মার্টফোনের ব্যাক প্যানেলে কাচ লাগাচ্ছেন তারা।
প্রথম দিকে স্মার্টফোনের পিঠের অংশটা তৈরি হত ধাতু দিয়ে। এর অনেকগুলি সমস্যা ছিল। ধাতু থাকার কারণে দ্রুত গরম হত ফোন। তা ছাড়া অনেক সময় নেটওয়ার্কের সমস্যাতেও ভুগতেন গ্রাহক, যার জেরে বর্তমানে মেটাল ব্যাক প্যানেল যুক্ত স্মার্টফোন নির্মাণ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে সমস্ত সংস্থা।
ফোনের ব্যাক প্যানেল কাচের হওয়ার আরও একটা অসুবিধা রয়েছে। এতে মুঠোবন্দি ডিভাইসের ওজন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর তাই বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, ব্যাক প্যানেলে প্লাস্টিক থাকা সবচেয়ে ভাল। এতে এক দিকে যেমন ফোনের ওজন কমবে, অন্য দিকে তেমন দামের দিক থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন গ্রাহক।
তবে ব্যাক প্যানেল প্লাস্টিকের হলে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা পাবেন না ব্যবহারকারী। বর্তমানে বাজার কাঁপাচ্ছে ‘ভেগান-লেদার’ ব্যাক প্যানেলের ফোন, যাকে দেখতে মনে হবে মুঠোবন্দি ডিভাইসটির পিঠের অংশটি চামড়ার তৈরি। এই ‘ভেগান-লেদার’ কিন্তু আসলে প্লাস্টিক। ‘স্মার্ট লুক’-এর দিক থেকে যা কাচের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়, বলছেন বিশ্লেষকেরা।