প্রতীকী ছবি।
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স না কি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা? এই দুই ফোনের মধ্যে কোনটা বেশি ভাল, তা নিয়ে তর্কের শেষ নেই। প্রযুক্তিবিদদের মতে, এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে মুঠোফোনের এই দুই ডিভাইস।
বিশ্লেষকদের মতে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রার ডিসপ্লে যথেষ্ট ভাল। এতে রয়েছে অ্যান্টি রিফ্লেকশন কোটিং। পাশাপাশি, স্যামসাঙের এই মডেলটির ব্যবহারকারী ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবেন। সঙ্গে পাবেন এস পেন। কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তির মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা অ্যাপ্লের আইফোনের থেকে দক্ষিণ কোরীয় স্যামসাঙের অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে এগিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
কিন্তু, উল্টো দিকে আইফোনের প্রিমিয়াম নকশা এবং ব্র্যান্ডিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিরর্থক। অ্যাপ্লের ফোনগুলির ক্যামেরা এতটাই ভাল যে সেগুলি দিয়ে সিনেমার শুটিং পর্যন্ত করা হয়। সেই জায়গায় এখনও পৌঁছোতে পারেনি স্যামসাং।
দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটির তৈরি মুঠোফোনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট প্রসেসর। অন্য দিকে বায়োনিক এ১৭ চিপ ব্যবহার হয় আইফোনে। দু’টির মধ্যে কোনটা বেশি ভাল, তা নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কলকাতার বাজারে দামের দিক থেকে এখনও আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স কিনতে হলে বেশি টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহককে।
স্মার্টফোন বা আইফোন কেনার ক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের কথায়, কী উদ্দেশে মুঠোফোনটি কেনা হচ্ছে, সেটা প্রথমে গ্রাহককে ভাবতে হবে। অর্থাৎ, ভাল পোর্টেট ছবি না কি ভিডিয়ো, সংশ্লিষ্ট স্মার্টফোনে অধিকাংশ সময়ে ক্যামেরাবন্দি হবে কোনটা?
এ ছাড়া দীর্ঘ সময়ের ব্যাটারি ব্যাকআপ, গেমিং, মাল্টি টাস্কিং ডিসপ্লে এবং গোপনীয়তার অধিকারের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সংস্থার আলাদা আলাদা মডেল বেশি ভাল। সেটা ভেবে নিয়ে ফোন কিনলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে খরচের দিকটাও।