প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ দিন ধরেই বাজারে চলে এসেছে ব্লুটুথওয়ালা তারবিহীন ইয়ারফোন বা হেডফোন। এগুলির পোশাকি নাম ‘ট্রু ওয়্যারলেস স্টিরিয়ো’ বা টিডব্লিউএস। কিন্তু, তার পরেও বিক্রি কমেনি লম্বা তারের হেডফোন বা ইয়ারফোনের। সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলির চাহিদা বজায় থাকার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। কোনটা কিনলে বেশি সাশ্রয়ের সম্ভাবনা, আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
প্রযুক্তিবিদদের দাবি, টিডব্লিউএসের থেকে তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করা অনেক বেশি সহজ। এতে বার বার চার্জ দেওয়ার কোনও ঝামেলা নেই। অন্য দিকে, টিডব্লিউএস কতকটা পুরনো দিনের দম দেওয়া ঘড়ির মতো। সুনির্দিষ্ট সময়ে চার্জ না দিলে কাজ করা পুরোপুরি বন্ধ করবে ওই ডিভাইস। এ ক্ষেত্রে শুধু ইয়ার বাড্স চার্জ দিলেই চলবে না। এর বাক্সকেও সময়ে সময়ে চার্জ দিয়ে চাঙ্গা রাখতে হবে ব্যবহারকারীকে।
তারযুক্ত হেডফোনে সরাসরি অডিয়ো ট্রান্সমিশন হয়ে থাকে। সেই কারণে এতে শব্দগ্রহণ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই ভাল। তবে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলি চলে অ্যানালগ কানেকশানের মধ্যে দিয়ে। অন্য দিকে, টিডব্লিউএস চালাতে ব্লুটুথের মাধ্যমে কিছু কোড ব্যবহার করে থাকেন প্রযুক্তিবিদেরা। এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই কারণে শব্দগ্রহণ অনেক সময়েই ততটা ভাল হয় না।
খরচের দিক থেকে তারযুক্ত হেডফোন অনেক সস্তা। এর কোনও একটি অংশ খারাপ হয়ে গেলে তা সারানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, ব্লুটুথ ইয়ারফোন বা হেডফোনে সেই সুবিধা নেই। একটা বাড্সও যদি সামান্য গড়বড় করে, তা হলেই সম্পূর্ণ ডিভাইসটি অকেজো হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকেরা সেই কারণে দু’টির ব্যবহারক্ষেত্রকে সম্পূর্ণ আলাদা করে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের দাবি, হালকা শরীরচর্চা, ট্রেনে-বাসে চলাচলের সময়ে ব্লুটুথওয়ালা তারবিহীন হেডফোন ব্যবহার করা ভাল। কিন্তু, গেমিং বা ভিডিয়ো এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে এখনও তারযুক্ত হেডফোনের কোনও বিকল্প নেই।