আগামী দিনে বিলুপ্ত হতে পারে ফোল্ডিং স্মার্টফোন, বলছেন বিশ্লেষকেরা। —প্রতীকী ছবি।
আকারে ছোটখাটো একটা ট্যাব। কিন্তু ভাঁজ করে দিব্যি তা পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারছে আমজনতা! এ-হেন ফোল্ডিং ফোনের চাহিদা যে তুঙ্গে থাকবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বাজারের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। সেখানে দিন দিন কমছে ভাঁজ করা মোবাইল ফোনের বিক্রি। তবে কি ফোল্ডিং ফোনের বেজে গেল মৃত্যুঘণ্টা? কিছু দিনের মধ্যেই হারিয়ে যাবে এই ডিভাইস? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নে তীব্র হচ্ছে জল্পনা।
মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় বহু কিছু ঝোড়ো হাওয়ার মতো এসেছে, আবার মিলিয়েও গিয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমেই থাকবে পপআপ ক্যামেরা, যা দেখে অনেকেই বলেছিলেন স্মার্টফোনের জগৎটাকে বদলে দেবে এই ডিভাইস। মূলত লেন্সকে লুকিয়ে রাখতে ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলি তৈরি করেছিল পপআপ ক্যামেরা। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে আরও উন্নত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা নিয়ে আসে তারা। ফলে ধীরে ধীরে বাজার থেকে গায়েব হয়ে যায় পপআপ ক্যামেরা যুক্ত স্মার্টফোন।
নির্মাতাদের তৈরি আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাকে অদৃশ্য ডিভাইস বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ, সংশ্লিষ্ট ফোনগুলিতে ডিসপ্লের নীচে ক্যামেরা সেট করেছিলেন তারা। কিন্তু অচিরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এতে গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন গ্যাজেট বিশ্লেষকদের একাংশ। ফলে ঝুঁকি না নিয়ে আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা নির্মাণ ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয় যাবতীয় ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা।
স্যামসাঙের জি৪৭ মডেলটিতে অবশ্য দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার সুবিধা ছিল। সম্প্রতি ওই ফোনটিতেও আর লুকোনো ক্যামেরা রাখছে না নির্মাণকারী দক্ষিণ কোরীয় সংস্থা। বদলে পাঞ্চ হোল ক্যামেরা ফিরিয়ে এনেছে তারা। একই ভাবে ফোল্ডিং ফোন নিয়ে প্রথম দিকে আমজনতার উৎসাহ ছিল খুবই বেশি। ডিভাইসটি মাল্টি টাস্কিং হওয়ায় তা গ্রাহকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। যদিও সময়ের চাকা ঘুরতেই ফোল্ডিং ফোন থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
গ্যাজেট বিশ্লেষকদের দাবি, আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে অ্যাপ্ল ভাঁজ করা আইফোন আনলে ফের একে নিয়ে বাড়তে পারে উৎসাহ। নইলে ফোল্ডিং ফোন বাজার থেকে উধাও হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভাঁজ করা আইফোন শেষ পর্যন্ত দিনের আলো দেখবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই কৃত্রিম মেধা যুক্ত স্মার্ট চশমা তৈরি করে ফেলেছেন প্রযুক্তিবিদরা। এর জেরে আগামী দিনে স্মার্টফোনের আর দরকার না-ও পড়তে পারে, বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।