—প্রতীকী ছবি।
পাওয়ার পয়েন্টের পর এ বার মেসেজিং অ্যাপ! সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবে তৈরি আরও একটি প্রযুক্তিকে বাজারে এনে টেক দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে জ়োহো কর্পোরেশন। খুব দ্রুত এটি হোয়াট্সঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকদের একাংশ। স্বদেশি মেসেজিং অ্যাপটির নাম ‘আরাত্তাই’ রেখেছ চেন্নাইয়ের টেক জায়ান্ট সংস্থা।
দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের বাজারে ব্যবসা করছে হোয়াট্সঅ্যাপ। সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের মতো এরও মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা মেটার হাতে। ফলে রাতারাতি এই মেসেজিং অ্যাপকে সরিয়ে ফেলা মোটেই সহজ নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের স্বদেশি প্রকল্পগুলিকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে কেন্দ্র। সে দিক থেকে জ়োহোর অ্যাপ যে কিছুটা সুবিধা পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
চেন্নাইয়ের টেক সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস, দু’টি অপারেটিং প্ল্যাটফর্মেই কাজ করবে ‘আরাত্তাই’ মেসেজিং অ্যাপ। এটি চলার জন্য অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ৬.০ এবং আইওএসের ক্ষেত্রে ১৪ বা তার পরবর্তী সংস্করণের প্রয়োজন হবে। তুলনামূলক ভাবে কম দামের স্মার্টফোনেও এটি দিব্যি চলবে বলে আশ্বস্ত করেছে জ়োহো।
সংস্থার দাবি, ব্যবহারকারীরা হোয়াট্সঅ্যাপে যে যে সুবিধা পেয়ে থাকেন, তার সবটাই রয়েছে ‘আরাত্তাই’তে। গ্রাহক এর মাধ্যমে ছবি, ভিডিয়ো এবং অডিয়ো রেকর্ডিং পাঠাতে পারবেন। প্রয়োজনে ফোন করা যাবে। আর থাকছে সাধারণ চ্যাটিংয়ের সুযোগ। সংশ্লিষ্ট অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশনের সময়ে হোয়াট্সঅ্যাপের মতোই সাধারণ কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন নাম, ফোন নম্বর এবং ডিভাইস আইডি।
সম্প্রতি, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেসবুক, এক্সের মতো সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে গুগ্লের মতো সার্চ ইঞ্জিন— সব ক্ষেত্রেই বিদেশি নির্ভরশীলতা কাটাতে চাইছেন তিনি। স্বদেশি মেসেজিং অ্যাপে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে ঘরের মাটিতে। সে দিক থেকে এটি অনেক বেশি গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।