3 Monsoon Destination in Jharkhand

উত্তরবঙ্গে ছুটতে হবে না, হাতের কাছেই আছে বথিন্ডা, সীতা এবং মোতি ঝর্না, কী ভাবে যাবেন?

টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ঝর্নাগুলিও জলে ভরে উঠেছে। প্রকৃতির ক্যানভাস হয়ে উঠেছে ঘন সবুজ। এখনই সময় ঝর্না দেখতে যাওয়ার। দু’দিনের ছুটিতে কোথায় কোখায় যেতে পারেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫ ১১:০৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বছরভর জল থাকে না সে ভাবে। তবে বর্ষা এলেই বদলে যায় রূপ। তেমনই তিন ঠিকানা আছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। দু’দিনের ছুটি আর অল্প খরচে ঘুরতে চাইলে সপ্তাহশেষে চলুন মোতি ঝর্না দেখতে। সীতা আর বথিন্ডার রূপও কিন্তু টেক্কা দিতে পারে উত্তরবঙ্গের যে কোনও জলপ্রপাতকে।

Advertisement

বথিন্ডা

ধানবাদেই রয়েছে বথিন্ডা ঝর্না। বর্ষায় একবার ঘুরে আসতে পারেন সেখানে।

হাওড়া থেকে ট্রেনে চাপলে সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবেন ধানবাদ। সেখান থেকে সড়ক পথে বথিন্ডা জলপ্রপাত ১৭ কিলোমিটার। সৌন্দর্যে আর পাঁচটা ঝর্না বা জলপ্রপাতের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এটি। সুউচ্চ পাহা়ড় নয়, ক্ষয়ে যাওয়া পাথুরে ধাপের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে বথিন্ডার ঝর্না। গাছগাছালি ঘেরা স্থানটিও কম মনোরম নয়। গত কয়েক বছরে এই স্থান অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। ধানবাদে গরম বলে শীতেই লোকে বথিন্ডার ঝর্না দেখতে চান। তবে বর্ষাতেই তার আসল সৌন্দর্য ধরা পড়ে।

Advertisement

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে ধানবাদের অসংখ্য ট্রেন আছে। হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত ধরলে তিন ঘণ্টার কম সময়েই পৌঁছে যাবেন। ভোরের ট্রেন ধরে ধানবাদ গিয়ে বথিন্ডার ঝর্না দেখে বিকেলের ট্রেন ধরে ফেরা যায়। সেখানে এক রাত থাকলে তোপচাঁচি এবং উস্রীর ঝর্নাও দেখে নিতে পারেন।

মোতি ঝর্না

মোতি ঝর্না রয়েছে রাজমহলে। ছবি: সংগৃহীত।

ঝাড়খণ্ডের রাজমহলও দু’দিনে চট করে ঘুরে আসারা জন্য হতে পারে আদর্শস্থান। হাওড়া থেকে রাতের জামালপুর এক্সপ্রেসে চাপলে ভোররাতেই পৌঁছনো যায় সাহেবগঞ্জ। গঙ্গার পাশেই সাহেবগঞ্জ শহর। নদীকে ছুঁয়ে রয়েছে রাজমহল পাহাড়। গঙ্গা এখন মোটেই সঙ্কীর্ণ নয়, বরং এক পারে দাঁড়িয়ে অন্য পার চোখে পড়ে না। সেখান থেকে মোতি ঝর্না ১৫ কিলোমিটার দূরে। পাহা়ড়ের উপর থেকে সশব্দে নেমে আসছে জল। তার প্রতিটি কণা মুক্তোর মতো। কেউ কেউ বলেন, তা থেকেই নাম মোতি ঝর্না। সেখানে গুহার ভিতরে রয়েছে মোতিনাথ শিবের মন্দির। বর্ষাই মোতি ঝর্না ঘোরার আদর্শ সময়। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। খুব বেশি দেরি না করে, দ্রুত পরিকল্পনা করে ফেলুন সেখানে যাওয়ার।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে সাহেবগঞ্জ যাওয়ার একাধিক ট্রেন আছে। রাতের দিকে আছে হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস। দুপুরের দিকে হাওড়া-সাহেবগঞ্জ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও ধরতে পারেন।

সীতা ঝর্না

রাঁচির কাছে সীতা ঝর্নাও রাখতে পারেন বর্ষায় ভ্রমণের তালিকায়। ছবি:সংগৃহীত

সবুজ সুউচ্চ পাহাড়ের উপর থেকে ঝরে পড়ছে ঝর্না। পাখির চোখে দেখলে মনে হবে এ যেন শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি। ঝাড়খণ্ডের সীতা ঝর্না ঘুরে নিতে পারেন এই মরসুমেই। অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বাঁধানো সিঁড়ি। ঝর্না দেখতে গেলে নামতে হবে অনেকটাই। ৪৩ মিটার উঁচু পাহাড় থেকে ঝর্না হয়ে নেমে আসে রাধু নদী। রাঁচি থেকে দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। এখানকার জনপ্রিয় জোনা ঝর্নার কাছেই তার অবস্থান। অনেকেই রাঁচি গেলেও, সীতা ঝর্না রাখেন না ভ্রমণ তালিকায়।

কী ভাবে যাবেন?

শতাব্দী এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত, ক্রিয়াযোগ এক্সপ্রেস-সহ হাওড়া থেকে রাঁচি যাওয়ার একাধিক ট্রেন রয়েছে। রাঁচি পৌঁছে একটি গাড়ি ভাড়া করে কাছে-পিঠের ঝর্না দেখে নিতে পারেন। দু’দিনেই ঘোরা হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement