trekking

Valley of Flowers trek: ১ জুন থেকে শুরু ‘ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স’ ট্রেক, পরিকল্পনা শুরু করুন এখন থেকেই

সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচু ‘ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স’ বিরল সব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৪২
Share:

ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স ট্রেকের সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত

‘ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স’ উত্তরখণ্ডের চমোলি জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ও বটে। সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচু এই উপত্যকা বিরল সব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান। বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের পাশাপাশি এখানে এশিয় কালো ভল্লুক, স্নো লেপার্ড, লাল শেয়াল ও বিভিন্ন বিরল প্রজাতির হরিণের সন্ধান মেলে। পুষ্পবতী নদী লাগোয়া পায়ে হাঁটা পথে পৌঁছে যাওয়া যায় হেমকুণ্ড সাহিবে। এই পায়ে হাঁটা পথে হিমালয়ের উপত্যকা ঘুরে দেখতে বহু মানুষ ট্রেক করতে আসেন এখানে। দেখে নিন ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স ট্রেকের সাত সতেরো।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি সৌজন্য: ইন্ডিয়া হাইকস

কী করবেন?

এখানে মানুষ আসেন মূলত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে। প্রথমটি অবশ্যই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্বেষণ। ট্রেকিংয়ের পায়ে হাঁটা পথের দু’ধারে রয়েছে হরেক রকমের বন্য পাহাড়ি ফুলে ঢাকা বিস্তীর্ণ উপত্যকা। আর সঙ্গে মৃদু শব্দে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী পুষ্পবতী। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্য ধার্মিক। হেমকুণ্ড সাহিব শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই তীর্থস্থান দর্শন করতে আসেন। আর তৃতীয় যে বিষয়টির জন্য পর্যটকরা এখানে আসেন সেটি হল পাহাড়ি গ্রাম ভ্রমণ। ঘনগরিয়া এখানকার প্রান্তিকতম গ্রাম। ঘুরে দেখতে পারেন ব্যুন্দর গ্রামটিও।

Advertisement

ট্রেকের পথ—

ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে ট্রেকের জন্য প্রথমে যেতে হবে হৃষিকেশ। হৃষিকেশ থেকে বাসে বা ছোট গাড়িতে যেতে হবে যোশীমঠ। হৃষিকেশ থেকে যোশীমঠ সড়ক পথে প্রায় ২৫৫ কিলোমিটার। সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। বাস না মিললেও পেয়ে যাবেন শেয়ার ট্যাক্সি বা সুমো। রাতটুকু যোশীমঠে কাটিয়ে পর দিন সকালে রওনা দিতে হবে গোবিন্দঘাটের দিকে। গাড়িতে গোবিন্দঘাটের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। গোবিন্দঘাট থেকেই শুরু পায়ে হাঁটা পথ। গোবিন্দঘাট থেকে ট্রেক করে ঘনগরিয়ার দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। ট্রেক করতে সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। ঘনগরিয়ার উচ্চতা গোবিন্দঘাটের থেকে প্রায় ১২০০ মিটার বেশি। ফলে গোটা ট্রেকের সবচেয়ে কঠিন অংশ এটিই। তৃতীয় দিন মাত্র ঘণ্টা দু’য়েকের ট্রেকেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে।

কোথায় থাকবেন?

হৃষিকেশ, যোশীমঠ, গোবিন্দঘাট ও ঘনগরিয়ায় ছোট-বড় নানা রকমের পর্যটক নিবাস রয়েছে। কিন্তু ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স যেহেতু জাতীয় উদ্যান তাই উপত্যকার ভিতরে থাকা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই ঘনগরিয়াতে থেকেই ঘুরতে হবে। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ঘনগরিয়াতে ভাল পঞ্জাবি খাবার-দাবারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

মাথায় রাখার বিষয়

প্রতি বছর ১ জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খোলা থাকে এই ট্রেক। ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে প্রবেশ করার সময় সকাল সাতটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত। বর্ষাকালে যেতে হলে আগে থেকে আবহাওয়া সম্পর্কে খোঁজ খবর করে তারপর যাওয়াই ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন