Rameswaram Tour through New Pamban Railbridge

উদ্বোধন হয়েছে নতুন পমবন সেতুর, সাগরের বুকে ট্রেন চাপার সাক্ষী থাকতে ঘুরে নিতে পারেন রামেশ্বরম

নব কলেবরে পমবন রেলসেতুর উদ্বোধন হয়েছে দিন তিনেক আগেই। সাগরের উপর দিয়ে ট্রেন যাওয়ার ছবি দেখে অনেকেই উৎসাহী। কী ভাবে ঘোরা যায় সেখানে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৬
Share:

সাগরের বুকে নতুন রেলসেতুতে ট্রেনযাত্রার সাক্ষী হতে চলুন রামেশ্বরম। ছবি: সংগৃহীত।

সাগরের পাশ দিয়ে নয়, সমুদ্রের বুকের উপর দিয়ে গিয়েছে রেলসেতু। আর তার উপর দিয়েই ছুটছে ট্রেন। গত কয়েক দিন সমাজমাধ্যমে এমন ছবি, ভিডিয়োর ছড়াছড়ি। চর্চা এখন নতুন পমবন সেতু নিয়ে। মাত্র দিন তিনেক আগেই নব কলেবরে তৈরি সে সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ভারত মহাসাগরের উপরে রামেশ্বরম দ্বীপে যেতে নব কলেবরে তৈরি রেলসেতুটির ভূমিকা অপরিসীম। ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার পুরনো পমবন সেতু তৈরি করে। কিন্তু সামুদ্রিক বিপর্যয়, জোলো হাওয়ায় ওই সেতুর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সাল থেকে সেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

জাহাজ চলাচলের জন্য ৭২ মিটার অংশ উল্লম্ব ভাবে উত্তোলন করা যাবে। ছবি: পিটিআই

এখন পুরনো পমবন সেতুর পাশেই ৫৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু তৈরি হয়েছে। এই সেতুর প্রযুক্তি চমকে দেওয়ার মতো। জাহাজ চলাচলের জন্য ৭২ মিটার অংশ উল্লম্ব ভাবে উত্তোলন করা যাবে।

Advertisement

সাগরের উপর গাড়ি চলাচলের সেতু রয়েছে। তবে ট্রেনে চাপার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা। রামেশ্বরম-তম্বরম (চেন্নাই) এক্সপ্রেস যাতায়াত করবে নতুন পমবন সেতুর উপর দিয়ে। সে অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে ভ্রমণ তালিকায় যোগ করতে পারেন রামেশ্বরম।

রামশ্বরমে কোথায় ঘুরবেন?

রামনাথস্বামী মন্দির

রামনাথস্বামী মন্দিরের চূড়া। ছবি: সংগৃহীত।

রামেশ্বরমের অন্যতম আকর্ষণ আরুলমিত্ত রামলিঙ্গেশ্বর বা রামনাথস্বামী মন্দির। শহরের মধ্যভাগে তৈরি মন্দিরটির নির্মাণশৈলীতে দক্ষিণীধাঁচের শিল্প, ভাস্কর্য দৃশ্যমান। মন্দিরের দীর্ঘ অলিন্দে রয়েছে এক হাজারটি স্তম্ভ। মন্দিরের আরাধ্য শিব। শোনা যায়, লঙ্কাজয়ের পরে রাম শিবের পুজো করতে উদ্যোগী হন। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম রামনাথস্বামী মন্দির। মন্দিরের সুউচ্চ চূড়া দেখা যায় বহু দূর থেকেই। সামনেই সমুদ্র। সেখানে স্নান করে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে পুজো দেন।

ধনুষ্কোডি

ঘুরে নিন ধনুষ্কোডিও। ছবি: সংগৃহীত।

সাগরের রূপ উপভোগের জন্য খুব সুন্দর একটি স্থান ধনুষ্কোডি। রামেশ্বরম শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১৯ কিলোমিটার। দুই পাশে জলরাশি, মাঝখান দিয়ে রাস্তা। রামেশ্বরমের খুব কাছেই শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ। কথিত, ধনুষ্কোডি থেকেই রামচন্দ্র লঙ্কায় যাওয়ার জন্য সেতুবন্ধ করেছিলেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে নাকি এখান থেকে শ্রীলঙ্কা দেখা যায়, এমনটাও বলেন অনেকে।

গন্ধমাদন পর্বত

রামায়ণে বর্ণিত গন্ধমাদন পর্বতও রয়েছে এখানে। অন্তত এখানকার অনুচ্চ পাহাড়টির তেমনই নাম। রামচন্দ্রের বানর সেনারা সাগরের বুকে পাথর ভাসিয়ে সেতু তৈরি করেছিল বলে কথিত। জলে পাথর ফেললে তা ডুবে যাওয়ারই কথা। তবে রামশ্বেরমের বিভিন্ন মন্দিরে এমন কিছু পাথর রাখা রয়েছে যেগুলি জলে ভাসে। এ ছাড়াও রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির, লক্ষণ তীর্থ-সহ একাধিক স্থান।

এপিজে আব্দুল কালাম মেমোরিয়াল

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’ নামে পরিচিত প্রয়াত এপিজে আব্দুল কালামের বাড়ি রামেশ্বরমে। সেখানে রয়েছে সংগ্রহশালা। এখানেই ছেলেবেলা কেটেছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির।

কী ভাবে যাবেন?

রেল সূত্রে খবর, ১৫ জোড়া ট্রেন থাকছে পমবন সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য। চলবে রামেশ্বরম-তম্বরম (চেন্নাই এক্সপ্রেস)। এ ছাড়া দৈনিক ছ’টি ট্রেন চলাচল করবে। চেন্নাই এগমোর থেকে রামেশ্বরমের মধ্যে দু’টি মেল এবং এক্সপ্রেস থাকবে। তিনটি ট্রেন চলবে মাদুরাই থেকে। এ ছাড়া তিরুপতি, কন্যাকুমারী থেকে তিন সপ্তাহে এক বার ট্রেন চালানো হবে। এ ছাড়াও, অযোধ্যা, কোয়াম্বত্তুর, বারাণসী-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে ট্রেন চলবে বলে জানা যাচ্ছে।

কোথায় থাকবেন?

রামেশ্বরমের বিভিন্ন দামের এবং মানের হোটেল আছে।

কী ভাবে যাবেন?

তামিলনাড়ুর এই দ্বীপটিতে নানা ভাবে যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে হলে চেন্নাই বা মাদুরাই থেকে যেতে পারেন। সড়কপথেও সেখানে যাওয়া যায়। মাদুরাই থেকে সড়ক পথে ৩-৪ ঘণ্টায় সেখানে পৌঁছোনো যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement