রাতে ট্রেনে উঠলে বেশ কিছু নিয়ম মানা জরুরি। সেগুলি কী? ছবি: সংগৃহীত।
কাজের প্রয়োজনে হোক বা নিছক ভ্রমণের জন্য, রাতের ট্রেনে যাত্রা করতে হয় অনেক সময়েই। তবে রাতে ট্রেনে উঠলে বেশ কিছু নিয়ম মানা জরুরি। যাত্রীদের সুরক্ষা এবং সুবিধার স্বার্থে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে রেলের। সেগুলি না জানলে, নিজে তো বটেই, সমস্যায় পড়তে পারেন অন্যেরাও।
জোরে কথা বলা: রাতে ট্রেন যাত্রার সময় ফোনে জোরে কথা বলা, ব্যক্তিগত স্পিকার চালিয়ে গান বাজানো, সহযাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে এমন কোনও কাজই করা যাবে না। এ নিয়ে রেলমন্ত্রকের কাছে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ার পরে ২০২২ সালে এই নিয়ম জারি হয়েছিল। টিকিট পরীক্ষক থেকে আরপিএফ বা অন্য রেলকর্মীদেরও নিয়ম মানতে হবে। যাত্রীদের ঘুমের অসুবিধা না করে তাঁদের কাজ করার নির্দেশ রয়েছে।
মাঝের বার্থ: রাত ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শোয়ার সময় নির্ধারিত। ফলে এই সময়ে রেলের সংরক্ষিত কামরায় মাঝের বার্থের যাত্রী তাঁর আসনটি শোয়ার জন্য তুলতে পারেন। এই সময়ে তাঁকে বাধা দেওয়া যাবে না। আবার সকাল ৬টা বেজে গেলে নীচের আসনের যাত্রীরও অধিকার থাকবে মাঝের আসনটি নামিয়ে দিতে বলার। একই নিয়ম সাইড আপার আপার বার্থের জন্যও প্রযোজ্য। ঘুমের সময়টুকু ছাড়া সাইড আপার বার্থের যাত্রী সাইড লোয়ারে বসে যেতে পারেন।
আলো: রাত ১০টার পরে রাতে জ্বালানোর হালকা আলো ছাড়া অন্য সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়ারই নিয়ম রয়েছে। কোনও যাত্রী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারবেন না।
খাবার: রাত ১০টার পরে প্যান্ট্রিকার থেকে খাবার অর্ডার করার সুবিধা থাকে না। আগে থেকে অর্ডার করা খাবার অবশ্য দিয়ে যেতে পারেন তাঁরা। তবে বেশি রাতে ট্রেনে উঠলে প্রাতরাশের জন্য আগাম বলে রাখা যেতে পারে।
টিকিট পরীক্ষা: রাত ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত টিকিট পরীক্ষক টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন না। তবে মাঝরাতে ট্রেনে যাত্রী উঠলে অবশ্যই এই নিয়ম খাটে না। নতুন যাত্রীদের ক্ষেত্রে রাতেও টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন টিকিট পরীক্ষক। যদি ট্রেন নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে রাত ১০টার পড়ে ছাড়ে, সে ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক এই সময়ে তাঁর কাজ করতে পারেন।