Peaceful Vacation

৩ মনোরম জায়গা: শরীর এবং মনের ক্লান্তি দূর করতে দু-এক দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন

মন অস্থির থাকলে অনেকে বুঝতেই পারেন না কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। সব ক্লান্তি মুছে ফেলে মন এবং শরীরকে ঝরঝরে করে দিতে পারে, রইল এমন কয়েকটি জায়গার হদিস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ১৭:২৩
Share:

মানসিক অস্থিরতায় অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না কোথায় যাবেন। ছবি: সংগৃহীত।

দিনের অধিকাংশ সময় অফিসেই কেটে যায় অনেকের। অফিস থেকেই ফিরেও অনেক সময় বসতে হয় কাজ নিয়ে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা তো আছেই। দীর্ঘ দিন এমন রুটিন চললে শারীরিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তবে শুধু শরীর নয়, ক্লান্তির ছাপ পড়ে মনেও। এর ফলে শুধু কাজের গুণমানই কমে যায়, তা নয়। সেই সঙ্গে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। এর থেকে মুক্তি কোথাও একটা বেড়াতে চলে যাওয়া হল সবচেয়ে সহজ সমাধান। মানসিক অস্থিরতায় অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না কোথায় যাবেন। সব ক্লান্তি মুছে ফেলে মন এবং শরীরকে ঝরঝরে করে দিতে পারে রইল এমন কয়েকটি জায়গার হদিস।

Advertisement

১। ডুয়ার্স

শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ। পাহাড়ির নদীর স্রোত আর মনোরম হাওয়া— ডুয়ার্সে এলে মন ভাল হতে বাধ্য। সবুজ আর পাহাড়িয়া এই প্রকৃতির হাতছানিতে সাড়া দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। নদী, জঙ্গল আর পাহাড়ে মোড়া ডুয়ার্স মনের যত্ন নেয়। এখানে এলে দু’পা অন্তর মিলবে খরস্রোতা নদীর দেখা। মাঝেমাঝেই বৃষ্টি পড়ে এখানে। নাগরিক ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে এর চেয়ে ভাল ঠিকানা আর কিছু হতে পারে না।

Advertisement

২। মুন্নার

কেরলের জনপ্রিয় শৈলশহর মুন্নার। ৫,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই জায়গাটিতে সারা বছর হালকা শীত অনুভূত হয়। ঢেউখেলানো সবুজ চা বাগান, মশলা বাগান, ঘন জঙ্গল, দুরন্ত ঝর্না, পাহাড়ি নদী— মুন্নার সেজে উঠেছে এ সব নিয়েই। মুন্নার ভাল ভাবে দেখতে হলে দু’টো দিন তো লাগবেই। কোথাও সবুজের রং গাঢ়। কোথাও আবার সবুজের মধ্যে মিশে রয়েছে ধূসরতা। এই দিগন্তবিস্তৃত সবুজকে ছুঁয়ে রয়েছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। শহুরে একঘেয়েমি কাটাতে পাড়ি দিতে পারেন মুন্নারে।

৩। তাকদা-লামাহাটা

বাঙালি বছরে এক বার দার্জিলিং যাবেন না, তা কী করে হয়। তবে চেনা জায়গায় বার বার না গিয়ে, বরং স্বাদবদল করতে যেতে পারেন দার্জিলিংয়ের কাছেই স্বল্প চেনা স্থান তাকদা ও লামাহটা। সবুজ পাইনে ঘেরা নির্জন এই জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে সম্প্রতি বেশ পরিচিতি পেয়েছে। নির্জন হলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে কিন্তু এই স্থান বঞ্চিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন