প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ বিমানযাত্রার ফলে ‘জেট ল্যাগ’-এর সমস্যা পরিচিত। অনেক সময়ে আন্তর্জাতিক টাইম জ়োন অতিক্রম করলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, সকলের ক্ষেত্রে জেট ল্যাগের সমস্যা সমান নয়। কারও ক্ষেত্রে সমস্যা কয়েক দিনের, তো কারও কারও ক্ষেত্রে তা আরও দীর্ঘ হতে পারে।
‘জেট ল্যাগ’ কী?
সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দিন ও রাতের মধ্যে সময়ের পার্থক্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন টাইম জ়োন তৈরি হয়েছে। রাতে বিমানে চেপে দূর গন্তব্যে পৌঁছোলে সেখানে তখন দিন। কিন্তু যাত্রীর দেহ এবং মন তখনও রাতের সময়েই থাকে। ফলে ঘুম পায়, দেহের ক্লান্তি বাড়ে। এই পরিস্থিতিকেই জেট ল্যাগ বলা হয়।
ব্যক্তিভেদে প্রভাব
জেট ল্যাগের সমস্যা সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। ব্যক্তিভেদে তার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। কাদের ক্ষেত্রে কী রকম সমস্যা হতে পারে তার নেপথ্যের একাধিক কারণ থাকতে পারে।
১) বয়স: অল্পবয়সিদের তুলনায় বয়স্কদের ক্ষেত্রে জেট ল্যাগের সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ বয়সের সঙ্গে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দেহের বেশি সময় লাগে।
২) অনিদ্রা: যাঁদের আগে থেকে অনিদ্রা বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে জেট ল্যাগের সমস্যা বেশি হতে পারে। নতুন জায়গায় ঘুমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তাঁদের কাছে কঠিন হয়।
৩) ঘন ঘন ভ্রমণ: যাঁরা খুব ঘন ঘন দূর গন্তব্যে ভ্রমণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ দ্রুত তাঁরা টাইম জ়োন পরিবর্তন করেন।
৪) ডায়েট: ভ্রমণের সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেলে বা কম জল পান করলে দেহে ক্লান্তি বাড়ে। হজমের সমস্যা তৈরি হয়। তার ফলেও অনেকের জেট ল্যাগের সমস্যা বাড়তে পারে।
৫) গন্তব্যের দিক: কেউ ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। আবার কেউ গভীর রাতে ঘুমোন। সেই মতো দেহ তার নিজস্ব ‘ঘড়ি’ তৈরি করে। সেখানে যাঁরা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁরা পশ্চিম দিকে যাত্রা করলে জেট ল্যাগের সমস্যা বাড়তে পারে। যাঁরা রাতে জেগে থাকেন তাঁরা পূর্ব দিকে যাত্রা করলে সমস্যা বাড়তে পারে।