Free Flight at Thailand

বিনামূল্যে বিমানযাত্রা! তাইল্যান্ড ভ্রমণ কি এমনই সহজ হতে চলেছে? কী ভাবে হবে শখপূরণ?

ভিসার পর কি বিমানযাত্রাও বিনামূল্যে? পর্যটনের প্রসারে কী সুযোগ সুবিধা দিতে চলেছে তাইল্যান্ডের সরকার?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৪
Share:

বিমানযাত্রা কি ফ্রি হতে চলেছে তাইল্যাল্ডে? ছবি: সংগৃহীত।

তাইল্যান্ড যাবেন, ঘুরবেন। কিন্তু বিমানযাত্রায় খরচ লাগবে না? এমন হলে এক বার ভেবে দেখবেন, সে দেশে যাবেন কি না?

Advertisement

গত দু’বছর ধরে নিখরচার ভিসায় তাইল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন ভারতীয়রা। এখন কি বিনা খরচায় বিমানযাত্রাও করতে পারবেন? সম্প্রতি ‘বাই ইন্টারন্যাশনাল, ফ্রি তাইল্যান্ড ডোমেস্টিক ফ্লাইট’-এর প্রচার সেই সম্ভাবনাও উস্কে দিয়েছে। বিষয়টি যদিও তাইল্যান্ড সরকারের প্রস্তাবেই আটকে এখনও। তবে তা যদি ফলপ্রসূ হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক টিকিট কেটে সে দেশে পা রাখলে, তাইল্যান্ডের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিনামূল্যে বিমানযাত্রা করা যাবে। একটি করে রিটার্ন টিকিট পাওয়া যাবে। মোট ৩, ৫০০ ভাট (তাইল্যান্ডের মুদ্রা) ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ন’হাজার টাকার টিকিট বিনামূল্যে মিলবে। এ জন্য ছ’টি বড় বিমান পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে সে দেশের সরকার।

‘দ্য ন্যাশনাল তাইল্যান্ড’-এর রিপোর্ট বলছে, অতি দ্রুত সে দেশের ক্যাবিনেটে এই প্রস্তাব পাশের জন্য জমা পড়বে। সুবর্ণ সুযোগ আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা বলবে সময়। তবে সাধ থাকলেও সাধ্যের অভাবে যাঁদের স্বপ্নপূরণ হয়নি, এটি কিন্তু তাঁদের জন্য হতে পারে দারুণ সুযোগ।

Advertisement

কেন এমন ভাবনা?

বরাবরই পর্যটনের প্রসারে নানা রকম চিন্তাভাবনা থাকে তাইল্যান্ড সরকারের। অতীতেও বিনামূল্যে ভিসা দিয়ে পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে তাইল্যান্ড। ফুকেত, পাটায়া, ব্যাংকক— তাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা যান সেখানে। ভারতীয়দের কাছেও ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় তাইল্যান্ড। সে দেশের সরকার তাইল্যান্ডের স্বল্পচেনা ঠিকানাগুলিতেও পর্যটনের প্রসারে এমন পদক্ষেপ করতে চায় বলে জানা যাচ্ছে।

তবে এমনটাও জানা যাচ্ছে, বিমানযাত্রার সুযোগ মিলতে পারে স্বল্প সময়ের জন্য। প্রাথমিক ভাবে তা হয়তো সেপ্টেম্বরেই পাওয়া যাবে। যদিও এই সময় বর্ষাকাল। তাই আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে তার পরেই সফরের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

তাইল্যান্ডে কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

মধ্য তাইল্যান্ড: তাইল্যান্ডের মধ্য অংশে পড়ে ব্যাংকক। তাইল্যান্ডের এই শহর অত্যন্ত পরিচিত। এখানকার নৈশজীবন বিশেষ আকর্ষণের। সাফারি ওয়ার্ল্ড, ভাসমান বাজার, দ্যা গ্র্যান্ড প্যালেস, ইমেরাল্ড বুদ্ধ, চাও ফ্রেয়া নদী-সহ আশপাশে অনেক কিছুই দেখে নেওয়া যায়।

আন্দামান সাগরের সৌন্দর্য: সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আদর্শ স্থান ফুকেত এবং ক্র্যাবি। জেমস বন্ড আইল্যান্ড, ফি ফি-সহ বেশি কয়েকটি দ্বীপ ঘুরে নেওয়া যায়। তাইল্যান্ডের শিল্প এবং সংস্কৃতি জানতে চাইলে তাদের নৃত্যানুষ্ঠান দেখতে পারেন।

পাটায়া: তাইল্যান্ডের পূর্বে অবস্থিত আরও একটি সুন্দর শহর পাটায়া। এখান থেকে প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে যান পর্যটকেরা। রয়েছে রকমারি জলক্রীড়ার সুযোগ।

কো সামুই: পূর্ব উপকূলের দ্বীপ কো সামুই। ছবির মতো সুন্দর সৈকত, শহর, পাহাড়, ঝর্না, বুদ্ধ পার্ক— আরও অনেক কিছুই আছে সেখানে। ব্যাংকক থেকে উড়ানে ঘণ্টা দেড়েকের পথ। ঝাঁ-চকচকে হোটেল, রিসর্টের আরাম-আয়েস সবই মিলবে এখানে। আর মিলবে প্রকৃতির নিখাদ সান্নিধ্য।

এ ছাড়াও রয়েছে খাও সোক ন্যাশানাল পার্ক, চিয়াং মাই, চিয়াং রাইয়ের মতো শহর। প্রতিটি জায়গায় যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে, তেমনই আছে ইতিহাসের ছোঁয়া, নিজস্ব শিল্প এবং সংস্কৃতি। এখানে প্রচুর বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement