Ravangla

পাহাড়ের গা ঘেঁষে মেঘের আনাগোনা, পাকদণ্ডী পথ, শীতে ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রাম রবংলা থেকে

অনেকেই আছেন, শীতকালে ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য কয়েক দিনের ঠিকানা হতে পারে সিকিমের রবংলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১২
Share:

দক্ষিণ সিকিমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হল রবংলা। ছবি: সংগৃহীত

বেড়াতে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও মরসুম হয় না। ভরা বর্ষা কিংবা কনকনে ঠান্ডা— বছরের যে কোনও সময়ে বেরিয়ে পড়েন সকলে। শীতকাতুরেদের কথা আলাদা, কিন্তু এমনিতে অনেকেই আছেন যাঁরা শীতকালেই ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য কয়েক দিনের ঠিকানা হতে পারে রবংলা।

Advertisement

দক্ষিণ সিকিমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হল রবংলা। মাঝেমাঝেই জলভরা মেঘ বৃষ্টি হয়ে নামে এখানে। বছরের বিভিন্ন সময়ে রোদ্দুর আর বৃষ্টির টানাপড়েন চলে । পাহাড়ের বুক জুড়ে দিগন্তবিস্তৃত চা বাগান, মনেষ্ট্রি, বুদ্ধমূর্তি দেখে মন হারিয়ে যেতে বাধ্য আপনার । কাঞ্চনজঙ্ঘা, পানজডিম, সিনালচু ও কাবরু— রবংলা থেকে হিমালয়ের এই চারমাথা স্পষ্ট দেখা যায়। পাহাড়ের গা ঘেঁষে ভেসে বেড়ানো নীল আকাশ, পাকদণ্ডী পথ, ঠান্ডা বাতাস, সব মিলিয়ে সিকিমের এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরে এসে আপনার মনে ভরে যাবে। একঘেয়েমি, ক্লান্তি ধুয়েমুছে একেবারে সাফ হয়ে যাবে।

পাহাড়ের গা ঘেঁষে ভেসে বেড়ানো নীল আকাশ, পাকদণ্ডী পথ, ঠান্ডা বাতাস, সব মিলিয়ে সিকিমের এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরে এসে আপনার মন ভরে যাবে। ছবি: সংগৃহীত

রবংলা আপনাকে খালি হাতে ফেরাবে না। শান্ত, নিরিবিলি রবংলা ছবির মতো গ্রাম। প্রকৃতির স্নিগ্ধতা আর অপার শান্তি এখানকার মুখ্য আকর্ষণ। দু’চোখ ভরে দেখার অনেক কিছুই এখানে রয়েছে। রবংলা থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টেমি চা বাগান। এখানকার সবচেয়ে মনোরম স্থান। ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁরা ট্রেক করেও আসতে পারেন এখানে। এ ছাড়াও রবাংলা থেকে কিছুটা দূরে রালাং মনেষ্ট্রি রয়েছে। এই মনেস্ট্রি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে গরম জলের ঝর্না। এখানকার অন্যতম সেরা আকর্ষণ। মাঝেমাঝেই এখানে বরফ পড়ে। সেই দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারলে জীবনের অন্যতম একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে।

Advertisement

পাখিদের কলরব, রডোড্রেনডনের ঘ্রাণে ভরে থাকবেন সব সময়। বর্ষাকালে এমনিতে প্রচুর বৃষ্টি হয় এখানে। তাই বর্ষার সময় রাবংলা এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে সারা বছরই রবংলার আবহাওয়া মনোরম থাকে। এখান থেকে আরও ঘণ্টাখানেক হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন ভালেদুঙ্গা থেকে। দু’জায়গা থেকেই হিমালয়ের অসাধারণ রূপ দেখতে পাবেন। অনেকেই রাবংলায় এসে ট্রেকিং করেন। সে ক্ষেত্রে অতি অবশ্যই গাইড নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো পথ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। ট্রেকিং করতে না চাইলে, গাড়ি ভাড়া করেই দেখে নিতে পারেন আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলি।

কী ভাবে যাবেন?

শিয়ালদহ অথবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে জিপ ভা়ড়া করে সোজা রবংলা। শিলিগুড়ি থেকেও রবংলার গাড়ি পাওয়া যায়। তবে ভাড়া তুলনায় বেশি পড়বে।

কোথায় থাকবেন?

রবংলায় বুদ্ধ পার্কের পাশে বেশ কয়েকটি ভাল হোমস্টে এবং রিসর্ট রয়েছে। পছন্দ মতো কোনও একটিতে থাকতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে বুক করে নিতে পারেন। তাতে সুবিধা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন