Weekend Destination

সপ্তাহান্তে সমুদ্র নয়, পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ওড়িশার সিমলিপাল হোক শীতের ছুটির ঠিকানা

জঙ্গলে বন্য পশুপাখি দেখার শখ যদি থাকে, তবে এক দিন গিয়েই হাল ছেড়ে দিলে হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৪৮
Share:

কপাল ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে বাঘমামার। ছবি- সংগৃহীত

আবহাওয়ায় এখন বেশ শীত শীত ভাব থাকলেও ছুটির দিন কমে আসছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও দূরে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। এ দিকে, নতুন বছরের শুরুতে একেবারে কোথাও না গেলেই নয়। সারা বছরের রসদ জোগাড় করতে হবে তো? কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কাছে-দূরে মোটামুটি সব জায়গাই ঘুরে ফেলেছেন। তাই এ বার ছোট্ট ছুটিতে পাশের রাজ্য ওড়িশায় গেলে কেমন হয়? না না, ওড়িশা শুনেই আবার পুরীর কথা ভাববেন না। একটু পাহাড়ও থাকবে, আবার জঙ্গলের হাতছানিও থাকবে, এমন জায়গা হলে তো মন্দ হয় না। তা হলে আর ভাবছেন কেন? লোটাকম্বল নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সিমলিপালের উদ্দেশে।

Advertisement

শোনা যায় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিমলিপালের নামকরণ হয়েছিল শিমূল গাছের আধিক্যের জন্য। তবে এই মরসুম যদিও শিমূলের নয়। ২৭৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই অভয়ারণ্য। ১৯৭৯ সালে জাতীয় উদ্যানের তকমা পেলেও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করে ১৯৮০ সালে। সেই থেকেই সিমলিপাল সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। বাঘ ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতল হরিণ, বুনো খরগোস, বনবিড়াল, সম্বর, বুনো কাঠবিড়ালি, বুনো শুয়োর, হনুমান এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির।

জলপ্রপাতের সামনে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় বেশ কিছু ক্ষণ। ছবি- সংগৃহীত

কী কী দেখবেন?

Advertisement

জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে শুনতে পাওয়া যায় বরহিপানি এবং ঝারান্দা জলপ্রপাতের আওয়াজ। এই দু’টি ঝর্না দেখবেন। শীতে খুব বেশি জলের স্রোত না থাকলেও বর্ষায় এর রূপ হয় দেখার মতো। পাহাড়ের কোলে যদি কোনও থাকার বন্দোবস্ত করতে পারেন, তবে আলাদা করে আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। জঙ্গলে বন্য পশুপাখি দেখার শখ যদি থাকে, তবে এক দিন গিয়েই হাল ছেড়ে দিলে হবে না। জঙ্গলে প্রবেশের জন্য ভিন্ন দু’টি পথ রয়েছে। চেষ্টা করবেন দু’দিন দু'টি আলাদা পথ দিয়ে সাফারি করার। সকাল, বিকেল হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন বুড়িবালাম নদীর ধার থেকে।

কোথায় থাকবেন?

ওড়িশা পর্যটন কেন্দ্রের নিজস্ব বনবাংলোতে থাকতে পারলে খুব ভাল। তবে এই মরসুমে ঘর পাওয়া খুবই কষ্টের। এ ছাড়াও বিভিন্ন দামের এবং মানের বেসরকারি বেশ কিছু হোটেল এবং রিসোর্টও রয়েছে।

সিমলিপাল, ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করে ১৯৮০ সালে। ছবি- সংগৃহীত

কী ভাবে যাবেন?

ট্রেনে হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বর আসতে পারেন। ভুবনেশ্বর থেকে সিমলিপালের দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে গাড়ির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়াও নামতে পারেন বারিপদা স্টেশনে। সময় লাগবে ঘণ্টা পাঁচেক। সেখান থেকে সিমলিপাল পৌঁছতে সময় লাগে আরও আধ ঘণ্টা।

সড়কপথে এলে সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মতো। এসপ্ল্যানেড থেকে বাস অথবা নিজস্ব গাড়িতে আসতে পারেন। রাস্তা খুবই মনোরম।

আকাশপথে আসতে গেলেও নামতে হবে ভুবনেশ্বরে। তার পর গাড়িতে করে পৌঁছতে হবে সিমলিপাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন