বাঙালি ছেলের জলসফর

ট্রেনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমি দু’টি মহাদেশ এবং আটটি দেশ ছুঁয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম। তাও মাত্র ন’মাসের মধ্যে। যাত্রা শুরু হয় টেক্সাসের হিউস্টন থেকে। সেখান থেকে আমাদের জাহাজ এগিয়ে চলে পানামার ক্রিস্টোবালের দিকে। সেখান থেকে পোর্ট অব স্পেন। অনবদ্য এই যাত্রাকে ভয়ঙ্কর সুন্দর বলাই যায়!

Advertisement

পূষণ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৫ ০০:০০
Share:

নীলের বুকে : রিও দি জেনিইরো।

ট্রেনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমি দু’টি মহাদেশ এবং আটটি দেশ ছুঁয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম। তাও মাত্র ন’মাসের মধ্যে। যাত্রা শুরু হয় টেক্সাসের হিউস্টন থেকে। সেখান থেকে আমাদের জাহাজ এগিয়ে চলে পানামার ক্রিস্টোবালের দিকে। সেখান থেকে পোর্ট অব স্পেন। অনবদ্য এই যাত্রাকে ভয়ঙ্কর সুন্দর বলাই যায়! আমাজনের গহন বৃষ্টিস্নাত অরণ্যের পাশ দিয়ে একটানা তিন দিন সফর শেষে কিছুটা বিরতি আসে ম্যানহউসে। সেখানে তখন বিশ্বকাপের খেলা চলছে। স্টেডিয়ামটাও ছিল বন্দরের একেবারে পাশেই! তবে, জাহাজ থেকে নেমে সেই খেলা দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি।
পরের ধাপে জাহাজ ভেসে চলে রিও-র দিকে। ব্রাজিলের এই অর্থনৈতিক রাজধানীতে ফিফা অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবটা দেখেছিলাম। আর দেখেছিলাম কর্কোভ্যাডো— যিশুর বিশাল মূর্তি যেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানেই তখন বিশ্বকাপের কার্নিভাল চলছিল।
এই যাত্রাপথে আমরা চলেছিলাম উত্তর থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দিকে। রিও থেকে সান্তোস, সাও পাওলো। ফিরতি পথে আবার উত্তর আমেরিকা— তাও আবার পাক্কা দু’ বার বারমুডা ত্রিভুজ পেরিয়ে!
শেষ পর্যন্ত টেক্সাসে পৌঁছে শেষ হয় জলযাত্রা! বাঙালির ছেলের এই জলসফরে মাছের জন্য মনটা মুখিয়ে ছিল। কিন্তু, তপসে মাছ ভাজা নিয়ে টেক্সাস বন্দরে কেউ স্বাগত জানায়নি।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন