২০২৬। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দল গোছানোর প্রস্তুতি বঙ্গ সিপিএমে। ব্রাঞ্চ। এরিয়া কমিটি। জেলা। সব শেষে রাজ্য কমিটি গঠন। ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হুগলির ডানকুনিতে রাজ্য সম্মেলন। সেখানেই ঠিক হবে কার অধিনায়কত্বে কোন দল নিয়ে খেলতে নামবে বাংলার সিপিএম। তার আগেই অবশ্য হোঁচট। কোন্দলের শুরু দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। শমীক লাহিড়ী বনাম সুজন চক্রবর্তী। দুই নেতার সংঘাতে প্রস্তাবিত কমিটি থেকে ১৮ জনের নাম প্রত্যাহার। উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলায় ভোটাভুটিতে হেরে জেলা কমিটিতেই স্থান পেলেন না সম্পাদক।
বাঁকুড়া, মালদহ, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুরেও সমস্যা। বাঁকুড়ায় জেলা সম্পাদক দেবলীনা হেমব্রম। প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে জেলার সর্বোচ্চ পদে। দেবলীনার ঘটনাও ব্যতিক্রমী। সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একই ব্যক্তি তিন তিনটি কমিটিতে থাকতে পারেন না। মালদহেও দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে সম্পাদক নির্বাচন করতে হয়। নিয়ম ভেঙে চতুর্থ বারের জন্য সম্পাদক করা হয়েছে অম্বর মিত্রকে। এই একই ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরেও। তিন বার সম্পাদক থাকার পর আবারও দায়িত্বে সেই নিরঞ্জন সিহি। নতুন রাজবংশী মুখ পাওয়া যায়নি। তাই ৭০ বছর পেরনো অনন্ত রায় আবার কোচবিহারের জেলা সম্পাদক। নেতাদের কাজিয়া। নতুন মুখের অভাব। তৃতীয় কোনও বিকল্প তৈরি করতে না পারা। তার উপর রাজনৈতিক লাইনে দ্বন্দ্ব। সিপিএম এখন বিতর্কমূলক শিরোনামবাদে জর্জরিত। তার উপর আবার নেতাদের স্টেটাস সিম্বলের ঝোঁক। রোগের ওষুধ কী, অনুবীক্ষণে সেটাই খোঁজার চেষ্টা চলছে সিপিএমে!