Viral Video

বাবা, মা, ঠাকুরমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল হড়পা বান! ঘরের ভিতরে অলৌকিক ভাবে একা বেঁচে রইল ১১ মাসের শিশুকন্যা

হিমাচলে ৩০ জুন রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও হড়পা বান আসার ফলে শিশুটির মা, বাবা ও ঠাকুমা তলিয়ে যান। সেই সময় ঘরের ভিতরে খাটে শুইয়ে রাখা ছিল শিশুটিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১০:৫৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই ভেসে গিয়েছেন হড়পা বানে। অলৌকিক ভাবে মৃত্যুকে ফাঁকি দিল ১১ মাসের এক শিশুকন্যা। গত ৩০ জুন রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও বান আসার ফলে শিশুটির মা, বাবা ও ঠাকুরমা তলিয়ে যান বলে অনুমান করছে প্রশাসন। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমাচলের সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা ছিল পরিবারটি। বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম নিকিতা। জলস্তর বাড়তে থাকায় নিকিতার বাবা রমেশ, মা রাধা এবং ঠাকুমা পূর্ণুদেবী বা়ড়ির পিছনে বানের জলকে আটকে তার অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। জলস্রোতের বেগ বাড়তে থাকায় সেই জলের টানে তাঁরা তলিয়ে যান। সেই সময় ঘরের ভিতরে খাটে শোয়ানো থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি।

Advertisement

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গোহরের মহকুমাশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) স্মৃতিকা নেগির কোলে চড়ে খেলছে শিশুটি। ভিডিয়োটি ‘নিখিল সাইনি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। পরিবারের সমস্ত সদস্যকে হারিয়ে আপাতত পিসির কাছে রয়েছে হতভাগ্য শিশুটি। নিকিতার বাবা রমেশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মা রাধা এবং ঠাকুরমা পূর্ণুদেবীর খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। স্মৃতিকা জানান, এই অনাথ শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর কাছে বহু অনুরোধ আসছে। তিনি নিজেও সময় পেলে এই ফুটফুটে শিশুটির সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন।

মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২। নিখোঁজ হয়েছেন ৪০ জন। হিমাচলের সমস্ত জেলাতেই সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধু প্রাণহানি নয়, সম্পত্তিরও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০০ কোটির সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement