—প্রতীকী ছবি।
সবে আধো-আধো বুলি ফুটেছে। কাঁধে ব্যাগ, জলের বোতল নিয়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে কচিকাঁচারা। তাদের প্রাথমিক ধাপের শিক্ষাটুকুর জন্য অভিভাবকদের খরচ হতে পারে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকা। মাসিক হিসাব ধরলে ২১ হাজার টাকা! অর্থাৎ, এবিসিডি বা রাইমস শেখার জন্য গুনতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি হায়দরাবাদের একটি নার্সারি স্কুলের বার্ষিক বেতনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। শৈশবের শিক্ষার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বহর দেখে অভিভাবকেরা হতবাক। যদিও এই ভাইরাল পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
দক্ষিণের রাজ্যের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি স্কুলের একটি ফি-কাঠামো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যেই আসতেই তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পোস্টে বলা হয়েছে স্কুলটি ২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষে নার্সারিতে ভর্তির জন্য ২.৫১ লক্ষ টাকা নিচ্ছে। একটি শিশুর জন্য প্রতি মাসে প্রায় ২১ হাজার টাকা খরচ, যে সবেমাত্র এবিসিডি শিখতে শুরু করেছে। পোস্টের তালিকা অনুসারে স্কুলের টিউশন ফি ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা, ভর্তির ফি পাঁচ হাজার টাকা, অন্যান্য খরচের জন্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়াও ১০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে, যা পরে ফেরত দেওয়া হবে। এই বেতন অভিভাবকদের মোট চারটি কিস্তিতে জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র নার্সারিতে ভর্তির বেতন আড়াই লক্ষ টাকা। পরবর্তী উঁচু ক্লাসের জন্য বেতনের পরিমাণ আরও বেশি। প্রাক্-প্রাথমিকের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে বেতন ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দিতে হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বেতনকাঠামো ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৩৫০ টাকা।
পোস্টটি ‘টক্ টু অনুরাধা’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এখন আপনার সন্তানকে এবিসি শেখানোর জন্য প্রতি মাসে ২১ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এই স্কুলগুলি এত উচ্চ ফি নেওয়ার বদলে এমন কী শেখাচ্ছে?’’ পোস্টে এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এটা কি স্কুল না কি বিলাসবহুল কোনও হোটেল?’’ এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী বেঙ্গালুরুর স্কুলগুলির সঙ্গে এর তুলনা টেনেছেন। তিনি লিখেছেন বেঙ্গালুরুর স্কুলে নার্সারি ফি ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক বেতন ২৭ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।