—প্রতীকী ছবি।
কানাকড়ি না দিয়েও প্রতি দিন দামি খাবার খেয়ে আসছিলেন এক ব্যক্তি। এক-আধ দিন নয়, টানা দু’বছর ধরে। তাঁর এই জালিয়াতির কথা ঘুণাক্ষরে টের পায়নি খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটি। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারিটি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষতির পরিমাণ দেখে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে সংস্থাটির। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে জাপানের নাগোয়ার এক ব্যক্তি অ্যাপের ফাঁক গলে এক পয়সাও না দিয়ে নাগাড়ে দামি খাবার খেয়ে যাচ্ছিলেন এত দিন।
তাকুয়া হিগাশিমোতোর নামে ওই ব্যক্তি একটি বহুলপ্রচারিত খাবার সরবরাহকারী অ্যাপ ব্যবহার করে ২১ লক্ষ টাকার খাবার খেয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। বেকার তাকুয়া প্রতি দিনের খোরাক জোগাড় করার জন্য অ্যাপ সংস্থাটির একটি নিয়মের অপব্যবহার করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি হ্যামবার্গার স্টেক এবং আইসক্রিমের মতো দামি খাবার অর্ডার করতেন। প্রতি বার খাবার সরবরাহ করার পর তিনি অভিযোগ করতেন যে তাঁর অর্ডার আসেনি। ফলস্বরূপ সংস্থা তাঁকে পুরো টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হত। খাবার এবং টাকা দুটোই পেয়ে যেতেন তাকুয়া। এই ভাবে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্থাটির ৩.৭ মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ২১ লক্ষ টাকা) ক্ষতি হয়েছিল।
সংস্থাকে ফাঁকি দিতে ১২৪টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন ওই তরুণ। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য নতুন নতুন নাম, আলাদা ঠিকানা এবং জাল নথি ব্যবহার করে প্রিপেড সিম কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, তাকুয়ার এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে অবশেষে দাঁড়ি পড়েছে। ৩০ জুলাই তিনি আইসক্রিম এবং চিকেন স্টেক অর্ডার করেন এবং টাকা ফেরত চেয়ে অনুরোধ করেন। তখনই সংস্থাটির প্রথম সন্দেহ হয়। সংস্থাটি তদন্ত শুরু করে, দেখা যায় যে, তাকুয়া অ্যাপের টাকা ফেরতের নীতির ফাঁক খুঁজে ১,০৯৫ বার টাকা ফেরত নিয়েছেন। সংস্থাটি পুলিশে একটি মামলা দায়ের করে। তার ভিত্তিতে কয়েক দিন আগে তাকুয়াকে গ্রেফতার করা হয়।