South Indian Food

জাপানিদের তৈরি ইডলি দোসা রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে কিওটোয়, খাঁটি দক্ষিণী স্বাদ, বলছেন ভারতীয়রাই

খাস দক্ষিণ ভারতে বেড়ে ওঠা এক ভারতীয়ই এই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন জাপানের ওই দোকানটিকে। জাপানের কিয়োটোয় ওই দোকানে খাওয়ার অবকাশ হয়েছিল তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

টোকিয়ো শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জাপানি খাবারের নাম জানতে চাইলে ক’টা নাম বলতে পারবেন? কিছু ভারতীয় সুশি দিয়ে শুরু করে সুশিতেই থেমে যাবেন। অধিকাংশ সেটুকুও বলতে পারবেন না। খুব বিরল শ্রেণীর একাংশ সুশি থেকে পরের ধাপে এগোবেন। কিন্তু জাপানে বসে একদল জাপানি মানুষ গড়গড়িয়ে বলে দেবেন একের পর এক দক্ষিণ ভারতীয় পদের নাম! ব্যাপারটা দারুন না?

Advertisement

এই জাপানিরা অবশ্য শুধু দক্ষিণ ভারতীয় পদের নাম বলেই থামবেন না। আপনাকে আরও খানিকটা অবাক করে দিয়ে এঁরা তৈরি করে ফেলবেন ইডলি, দোসা, সম্বার, চাটনি থেকে শুরু একের পর এক দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। এমনকি, মন মাতানো স্বাদের দক্ষিণী কফিও নিমেষে বানিয়ে ফেলবেন এঁরা। আর এই সব কিছুই হবে একেবারে খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় স্বাদে।

নেহাত কথার কথা নয়। খাস দক্ষিণ ভারতে বেড়ে ওঠা এক ভারতীয়ই এই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন জাপানের ওই দোকানটিকে। জাপানের কিয়োটোয় ওই দোকানে খাওয়ার অবকাশ হয়েছিল তাঁর। সমাজমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ওই ভারতীয় লিখেছেন, “আমার দক্ষিণ ভারতে বেড়ে ওঠার স্মৃতিকে মনে রেখেই বলছি, আমার জীবনের অন্যতম সেরা এবং খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবার আমি এই রেস্তোরাঁতেই খেয়েছি।

Advertisement

এক্স হ্যান্ডলে রেস্তোরাঁর ছবি-সহ ওই পোস্ট করেছেন ওই ভারতীয়। তাঁর নাম প্রসন্ন কার্তিক। এক কালে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর নীতি উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন প্রসন্ন। তাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দুই-ই দক্ষিণ ভারতে। তিনিই এক্স হ্যান্ডেলে ওই পোস্ট করেছেন।

প্রসন্ন লিখেছেন, রেস্তোরাঁটির নাম তড়কা। কিছু জাপানি মানুষ চালান এই রেস্তোঁরা। প্রতি ছয়মাস অন্তর তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ আসেন চেন্নাইয়ে। এখানে এসে একটি নতুন দক্ষিণ ভারতীয় পদ রাঁধতে শেখেন। তার পর অভ্যাস করে রেসিপিটি নিখুঁত ভাবে আয়ত্ত্বে এনে তারপরেই ফেরেন দেশে। তার পর তড়কার মেনু কার্ডে জুড়ে যায় নতুন পদটি।

প্রসন্ন জানিয়েছেন, তিনি অবাক হয়েছেন দেখে যে, ওই রেস্তোরাঁর ভারতীয় খদ্দেরের সংখ্যা নামমাত্র। জাপানিরাই ভালবেসে ওই ভারতীয় খাবার খান। রমরমিয়ে চলে রেস্তোঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন