ছবি: সংগৃহীত।
বহুতলে রং করতে গিয়ে বাঁশের ভারায় উঠেছিলেন দু’জন রংমিস্ত্রি। কাজ করতে করতেই এক জন অজ্ঞান হয়ে যান। পায়ে দড়ি বাঁধা থাকায় শূন্যে ঝুলতে থাকেন তিনি। যে কোনও মুহূর্তে দড়ি ছিঁড়ে ঘটে যেতে পারত ভয়ঙ্কর কাণ্ড। এই অবস্থায় ঝুলতে থাকা যুবককে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন অন্য এক তরুণ। তিনিও সেই সময় রং করতে ভারায় চড়েছিলেন। ঝুলন্ত অচেতন সহকর্মীকে কাঁধে নিয়ে উদ্ধার করে আনেন ওই তরুণ। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সহকর্মীর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে চাওয়া দ্বিতীয় যুবকের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। যদিও কবে বা কোথায় এই ভিডিয়োটি তোলা হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কিছু জানা যায়নি।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক জন রঙের মিস্ত্রি সম্পূর্ণ অচেতন, নিশ্চল ভাবে বাঁশের ভারা থেকে ঝুলছেন। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে এগিয়ে আসেন অন্য এক জন মিস্ত্রি। সরু সরু বাঁশ দিয়ে তৈরি ভারার সঙ্গে একটি পা বাঁধা অবস্থায় হেঁটমুণ্ড হয়ে ঝুলছিলেন প্রথম জন। দ্বিতীয় ব্যক্তি এগিয়ে এসে কোনও রকমে তাঁর অন্য পা ধরে ফেলেন। বাঁশের ভারাটি নড়বড়ে হওয়ায় বিপজ্জনক ভাবে দুলছিল সেটি। সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বাঁশের ভারাটি বেশ উঁচু হওয়ায় তাতে চড়ার সাহস দেখাতে পারেননি কেউই। শেষমেশ ঝুলতে থাকা যুবককে কোনও রকমে জাপটে ধরে ধীরে ধীরে নীচে নেমে আসেন দ্বিতীয় যুবক।
‘সাহিল পেন্টার২০২৪’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটি দু’দিন আগে পোস্ট করা হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সমাজমাধ্যমে কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন নেটাগরিকরা। প্রচুর মন্তব্য জমা পড়েছে ভিডিয়োয়। এক জন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘ভাই, দয়া করে নিজের কথা ভাবুন। না হলে অন্তত নিজের পরিবারের কথা ভাবুন।’’