viral video

এক বছর ধরে রাত জেগে ছেলেকে গণিত শেখালেন বাবা, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখে ভেঙে পড়লেন কান্নায়!

ছেলেকে টানা এক বছর গণিতের অনুশীলন করানোর পর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলেন বাবা। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ছেলের প্রাপ্ত নম্বরের হাল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৯
Share:

ছবি: প্রতীকী।

এক বছর ধরে ছেলেকে গণিতের তালিম দিচ্ছিলেন বাবা। গণিতে ছেলের দুর্বলতা ও ভীতি কাটাতে প্রতি দিন নিয়ম করে অনুশীলন করাতেন তিনি। পরীক্ষায় ছেলে ভাল ফল করবে, সেই আশায় রাত জেগে কঠিন সমস্ত সূত্র ও নিয়ম নিয়ে নাড়াচাড়া করতেন। পরীক্ষার ফল বেরোনোর পর গণিতে ছেলের প্রাপ্ত নম্বর দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেন তরুণ। পুরো এক বছর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছেলেকে পড়িয়ে নম্বরের হাল দেখে মাথায় হাত পড়ল বাবার। ইনস্টাগ্রামেও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সম্প্রতি চিনের সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হেনানের ঝেংঝো শহরের বাসিন্দা ওই তরুণের দাবি, তাঁর সমস্ত আশায় জল ঢেলে দিয়েছে ছেলে। কঠোর পরিশ্রম করে পড়ানো সত্ত্বেও ছেলে গণিতে পেয়েছে মাত্র ছয়! ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের হাল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিধ্বস্ত তরুণ টি-শার্ট দিয়ে চোখের জল মুছছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি আর পরোয়া করি না। আমার প্রচেষ্টা বৃথা, ওকে একা লড়াই করতে দাও!’’ ভিডিয়োটি তাঁর স্ত্রী ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। স্বামীর এ- হেন আচরণ দেখে তিনিও হেসে ফেলেন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়টি হল, তরুণের পুত্র এর আগে গণিতে ৪০-৫০ নম্বর পেত। এক বার অঙ্কে সে ৯০ নম্বরও পেয়েছিল। বাবার কাছে অঙ্কের পাঠ নেওয়ার পর তার গ্রেড সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ভিডিয়োটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটাগরিকেরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। অনেকেই তরুণের শিক্ষাদানের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। গণিতের মতো বিষয়ে তাঁর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। আবার অনেকে তরুণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘শিক্ষার ক্ষেত্রে সব সময় নম্বরই একমাত্র বিচার্য নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement