—প্রতীকী ছবি।
১২ বছর বয়সি কন্যাকে রোগীর মস্তিষ্কে ছিদ্র করতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক শল্যচিকিৎসককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রিয়ার গ্রাজ আঞ্চলিক হাসপাতালে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১৩ জানুয়ারি ৩৩ বছর বয়সি এক যুবকের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়েছিল ওই হাসপাতালে। দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালেরই শল্যচিকিৎসকেরা। এঁদের মধ্যে এক জন মহিলা নিউরোসার্জনও ছিলেন। অভিযোগ, সহায়তার জন্য নিজের ১২ বছর বয়সি কন্যাকেও এনেছিলেন ওই চিকিৎসক। কন্যাকে দিয়ে রোগীর মাথায় ‘ড্রিল’ও (অস্ত্রোপচার জন্য মাথার বাইরের অংশে ছিদ্র করা) করান তিনি।
সেই অস্ত্রোপচার সফল হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে। হইচই পড়ে যায় অস্ট্রিয়া জুড়ে। গ্রেফতার হন চিকিৎসক। মামলাও দায়ের হয়। বিগত প্রায় দু’বছর ধরে সেই মামলা চলছিল।
সম্প্রতি আদালতের শুনানিতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জুলিয়া স্টেনার দাবি করেছেন, অস্ত্রোপচারের শেষের দিকে ওই মহিলা শল্যচিকিৎসক তাঁর মেয়েকে রোগীর খুলিতে ছিদ্র করার নির্দেশ দেন। অস্ত্রোপচার সফল হলেও তাঁর রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আ সে কারণেই চিকিৎসকের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন তিনি।
অন্য দিকে চিকিৎসকের আইনজীবীর দাবি অন্য। বার্নহার্ড লেহহোফার নামে ওই আইনজীবীর দাবি, মহিলা শল্যচিকিৎসক কন্যাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে এলেও তাকে দিয়ে রোগী মস্তিষ্কে ছিদ্র করাননি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।